বাংলার মেঘালয় বান্দরবান, চারিদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। মেঘের উপর বাড়ি, মানুষের চলাচল মেঘের উপরেই। ভোর সকালে নিচ দিয়ে ছুটছে হাজারো মেঘ, উপরে পাহাড়ি আঁকাবাকা উঁচুনিচু পথে চলছে মানুষ। সবাই ব্যাস্ত, কেউ প্রকৃতি দেখা নিয়ে কেউবা আবার জুম ক্ষেতে নতুন ফসল তুলতে বা বুনতে।
গ্রাম-বাংলার পরিবেশ দেখলে যেনো মনে পরে সত্যজিতের সেই গানটা;
আহা কি আনন্দ
আকাশে বাতাসে
গাছে গাছে পাখি ডাকে
সুভায়ও অনুরাগে
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
মেঘ বৃষ্টির বাংলাদেশ। এই মেঘ, এই বৃষ্টি। সারাদিন ঝুপ ঝুপ বৃষ্টি। থামার কোনো নাম নেই। একটু থামতেই আবার ঝড়তে শুরু করে। সমস্ত গাছাগাছালি সবুজ হয়ে যায়। নদী, নালা, খাল, বিল ভরিয়ে দেয়। বৃষ্টির সময়, গ্রামের ছেলে-মেয়েরা বৃষ্টিতে গোসল করা নিয়ে ব্যাস্ত। তারা ছুটে ভিজতে ভিজতে। গান গায় বিভূতিভূষণের সেই পথের পাঁচালির চার চরণ;
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
ধান দিবো মেপে
নেবুর পাতা করম-চা
যা বৃষ্টি ঘরে যা
ছেলেরা ফুটবল নিয়ে ব্যাস্ত। মাছ ধরা নিয়ে ব্যাস্ত। কাদাময় খোলা মাঠে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। পায়ে ব্যাথা পেলে কিংবা পা ভাঙ্গলেই মায়ের বকনি, কাঁচা কনচি দিয়ে মাইর ও খেতে হয় বৈ কি। কিন্তু মায়ের মন, পৃথিবীর মধ্যে সৃষ্ট, শান্ত। সকালে বকলে দুপুরে অনুতপ্ত হয়। ছেলের জন্য মায়া হয়। ভালোবাসার জন্ম নেয়। কিন্তু গ্রামীন পরিবেশে বড় হওয়া, কখনো কি বন্দী থাকা যায়!!!
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।