ট্রেনের সীট উলটো দিকে না সোজা দিকে অধিকাংশ রেল ফ্যানদেরই এইটা চিনতে বেশ সমস্যা হয়। টিকিট কাটার সময় সীট যদি উলটো দিকে হয়, সেক্ষেত্রে অনেকেরই ভ্রমণ করার সময় বেশ বিরক্তকর লাগে।
আর তাই, আজকে আমরা এই নিবন্ধটিতে আলাচনা করবো। কিভাবে টিকিট কাটার সময় উলটো সীট কিংবা সোজা সীট চিনবেন। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্যাদি জানবো।
ট্রেনের সোজা ও উলটো সীট চেনার উপায়
বাংলাদেশ রেলওয়ের বগি গুলোতে প্রতি বগিতে ৬০টি করে সীট থাকে। তারমধ্যে অর্ধেক সীট সোজা এবং অর্ধেক সীট উলটো দিকে এভাবে বিন্যাস করা হয়। অর্থাৎ ৩০ টি সীট সোজা এবং বাকি ৩০ টি সীট উলটো আকারে সাজানো থাকে। নিচে আমরা দেখে নিবো কিভাবে চিনবেন ট্রেনের উলটো অথবা সোজা সীট।
১. আপনার গন্তব্য যদি আপনার জেলা থেকে কিংবা দেশের যেকোনো জায়গা থেকে ঢাকা অভিমূখে হয়। তাহলে যেকোনো বগির ১-৩০ তম সীট পর্যন্ত সামনের দিকে, এবং ৩১-৬০ পর্যন্ত উলটো দিকে।
২. আপনার গন্তব্য যদি ঢাকা থেকে দেশের যেকোনো জায়গায় হয়, সেক্ষেত্রে ৩১-৬০ পর্যন্ত সীটগুলো সামনের দিকে, এবং ১-৩০ পর্যন্ত উলটো দিকে।
যদিও শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া কিছুটা সম্ভব নয় যে কোন সীটগুলো সোজা আর কোনগুলো উলটো। কারণ অনেক সময় রেল কতৃপক্ষ কোচগুলো ঘুরিয়ে দেয়। ফলে সেইসময় সোজা সীটগুলো গুলো হয়ে যায় উলটো! তবুও এই টেকনিক মাথায় রাখলে সহজেই ট্রেনে সোজা সীট পাওয়া যায়। কারণ এই প্যাটার্নেই সর্বদাই ট্রেনগুলোর বগি সাজানো থাকে (ক্ষেত্রবিশেষ ব্যাতিত)।
শেষ কথা
আশাকরি, আমরা এই নিবন্ধটি থেকে ট্রেনের সীট উল্টো দিকে নাকি সোজা দিকে চেনার উপায় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি জেনেছি। বাংলাদেশ রেলওয়ে বা যেকোনো প্রশ্ন থাকলে লিখুন নিচের মন্তব্য বক্সে। আপনার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে দ্রুত।