শিক্ষিত জাতি গঠনের জন্য পাঠক বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বই পড়ার মাধ্যমেই একজন ব্যাক্তি হয়ে ওঠে জ্ঞানসমৃদ্ধ। একজন ব্যাক্তি যত বেশি বই পড়েন, তার জ্ঞান ভাণ্ডার তত বেশি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। আর একটা পুরো জাতিকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে দরকার শিক্ষিত জনসমাজ। সেই শিক্ষিত জনসমাজ গড়ে ওঠে বই পড়ার মধ্য দিয়ে।
ফেসবুকে বইয়ের ব্যবসা শুরু করার নিয়ম |
উন্নত বিশ্বে বইয়ের মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে। সে দেশগুলোতে দেখা যায় পথে ঘাটে চলতে ফিরতে মানুষের হাতে বই, কেউ ট্রেনে কিংবা বাসে দাঁড়িয়ে বেশ মনোযোগের সাথে পড়ছেন একখানা বই, মাঝে মাঝে মিটিমিটি হাসছেন ও বটে।
কিন্তু বাংলাদেশের দৃশ্যটা একটু ভিন্নরকম। এদেশে বইয়ের মর্যাদা খুব একটা দেয়া হয়না। শিক্ষক মহাশয় কিংবা পরিবারের অভিভাবকরা তার বাচ্চাদের কোনো উপন্যাস কিংবা নন-ফিকশন বা ফিকশন বই পড়া দেখলে বলে, এসব ফালতু বই পড়ার কী দরকার! নিজের সিলেবাসের বই পড়ো। রেজাল্ট ভালো করো। তাদের মতে, সিলেবাসের বাহিরে বৈ পড়া মানে বাচ্চার রেজাল্ট খারাপ! এজন্যই হয়তো সৈয়দ মুজতবা আলী তার বইপড়া গল্পে বলেছিলেন, বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই যেদেশ বইয়ের মর্যাদা দিতে জানেনা, একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাতিত।
সত্য সত্যই এদেশে বইয়ের মর্যাদা নেই খুব একটা। উন্নত বিশ্বে বইয়ের মর্যাদা আছে বলেই তাঁরা উন্নত।
বর্তমানে লক্ষ করলে দেখা যাবে রকমারি ও ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজ ও আইডির বদৌলতে ক্রমেই বইপাঠক বাড়তেছে। সেখানে এমনসব লোভনীয় বই দেখা যায়, যার বই পড়ার অভ্যাস নেই সে পর্যন্ত বই কিনছে। আমার নিজেরই বন্ধুমহলের এবং পরিচিত অনেকেই ছাত্রজীবনেই বইয়ের ব্যবসা ফেসবুকে করে আসছে দীর্ঘদিন। এবং তাঁরা ইতোমধ্যে সফল অনলাইন বইবিক্রেতায় পরিণত হয়েছে বৈকি।
ছাত্রজীবনে ফেসবুক বা অনলাইনে বই ব্যবসা একটা মহৎ পেশা। সারাদিন বই অর্ডার নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে বইগুলো সব একসাথে ডেলিভেরি দিলেই হয়ে গেলো। এ পেশায় খুব একটা কষ্ট করতে হয়না।
কিভাবে শুরু করবেন ফেসবুকে বই ব্যবসা?
বইয়ের ব্যবসা। শুরু করার আগে অবশ্যই তোমার বই সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অল্প ধারণা থাকলেই হবে। তবে বইপোকা তথা যাদের বইপড়ার অভ্যাস তুখোড় তাদের জন্য বই ব্যবসা অনেক সহজ এবং উত্তম একটা পেশা। এটাতে তাদের একটা বড় লাভ হলো, তাদের স্টকে থাকা বইগুলো নিজেই পড়ে শেষ করে ফেলতে পারে অনায়াসেই। আর যাদের বইপড়ার নেশা রয়েছে, এটা তাদের বলতে হয়না, তাঁরা এনেই আগে নিজেই পড়ে শেষ করে ফেলে।
পুরাতন বই ব্যবসার ক্ষেত্রে তোমাকে তোমার ব্যবসার জন্য কোনো ট্রেড লাইসেন্স বা কোনো অনুমতি পত্রের প্রয়োজন নেই। শুধু প্রয়োজন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এই ধরো কিভাবে ব্যবসাটা শুরু করবে, পুঁজির প্রয়োজন কতটুকু। কোনসময় কোন বইয়ের চাহিদা বেশি। পাঠকপ্রিয় বইসমূহ। ক্রেতাদের কোন বইয়ের চাহিদা সর্বাধিক। এইতো এইসব।
পুঁজি
পুরাতন বই অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে পুঁজির প্রয়োজন হয়না খুব একটা। ৫০০ অথবা
১০০০ টাকা হলেই শুরু করা যায়। ধরো ১০০০ টাকায় নিলে ৫০টা বই। সেগুলো বিক্রি করে যেটা লাভ হবে সেটা সহ আরও অধিক বই স্টকে আনলে। ব্যাস হয়ে গেলো। এভাবে ক্রমেই বই বাড়বে। প্রথম দিকে লাভের অংশটাও বই স্টকের ক্ষেত্রে ব্যয় কর।
খুলে ফেলো ফেসবুক আইডি, পেইজ ও গ্রুপ
নাম নির্বাচনঃ পুরাতন বইয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে তোমাকে প্রথমেই ভাবতে হবে সুন্দর একটা নাম যে নামে তুমি তোমার বইয়ের ব্যবসা শুরু করবে। নামটা ইউনিক এবং সাহিত্য রিলেটেড হওয়া ভালো। যেমন ধরো বৈতরণী, বইনগর, বইকুঞ্জ ইত্যাদি। তোমার ইচ্ছামতো সুন্দর একটা নাম নির্বাচন করে ফেলো।
ফেসবুক আইডিঃ তোমার নির্বাচন করা নামে এখন একটা ফেসবুক আইডি খুলে ফেলো। এখন সেই আইডি থেকে সার্চ দাও "পুরাতন বই ক্রয়-বিক্রয়" অসংখ্য গ্রুপ আসবে হাজার হাজার মেম্বারের। সেই গ্রুপগুলোতে যুক্ত হয়ে যাও এবং সেখানকার বই বিক্রয় পোস্টগুলোতে যারা কমেন্ট এবং লাইক করেছে ওদের সবাইকে রিকোয়েস্ট পাঠাও। বিশেষকরে কমেন্টকারিদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে ভুলবেনা।
ফেসবুক পেইজঃ এখন তোমার কাজ হলো ঐ একই নামে একটা পেইজ তৈরি করা। খুলে ফেলো একটা পেইজ। তোমার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে ইনভাইট করে ফেলো সেই পেইজে। সুন্দর একটা পোস্ট করো। পেইজের রিচ বাড়ানোর জন্য সুন্দর সুন্দর পোস্ট বই সম্পর্কে করতে পারো। অন্যান্য গ্রুপের বা অনলাইনে বিশেষকরে কোরাতে লক্ষ করবে দারুণ দারুণ সব পোস্ট, সেগুলো কপি করে দিতে পারো, শেষে সংগৃহীত কথাটা উল্লেখ করতে ভুলবেনা কোনো লেখা কপি করে নিজের পেইজে দেয়ার ক্ষেত্রে। চাইলে কিছু টাকার বিনিময়ে পেইজটাকে বুস্ট করতে পারো। অথবা মাঝে মাঝে কিছু কুইজ দিতে পারো, বিজয়ী পুরষ্কার বই, সেখানে শর্ত জুড়ে দিতে পারো পেইজে অবশ্যই লাইক দিতে হবে এবং মেনশন করতে হবে নিজের বন্ধুদের থেকে দুজনকে। এবং সেই পোস্টটাকে ২৪ ঘন্টার জন্য ১০০টাকার বিনিময়ে বুস্ট করতে পারো। এটা করলে তোমার পেইজের অডিয়েন্স বেড়ে যাবে অনেক বেশি। এতে অসংখ্য মানুষ অংশ নিবে। লাইক বাড়বে দ্রুত। তবে ফেসবুকে বুস্ট করার জন্য তোমার থাকতে হবে ডুয়েল কারেন্সি অর্থাৎ ডলার সাপোর্টেড ডেবিট কার্ড। আর তার জন্য প্রয়োজন পাসপোর্ট। তবে অনলাইন কয়েকটা ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ভার্সুয়াল ডলার রেলোডেড কার্ড সেল করে। অথবা ফেসবুকে কিছু পেইজ রয়েছে যারা বুস্ট করে, ট্রাস্টেড পেইজ খুঁজে বের করে তাদের কিছু টাকার বিনিময়ে করে নিতে পারো। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেনো ট্রাস্টেড পেইজ হয়।
ফেসবুক গ্রুপঃ এখন একটা একই নামে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে পারো। তবে চাইলে পরেও করতে পারো। কিন্তু এটা তোমাকে করতেই হবে তোমার বই ব্যবসার অগ্রগতির জন্য। তারপর সেখানে তোমার ফ্রেন্ডলিস্টের সকলকে ইনভাইট করো এবং তোমার বন্ধু অথবা পরিচিতদের দ্বারাও ইনভাইট করে নাও তাদের ফ্রেন্ডদের। যখন মেম্বার কিছু হবে, তখন প্রতিযোগিতা দিতে পারো গ্রুপে, যেমন ধরো বইছবি, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি। পুরষ্কার হিসেবে রাখতে পারো বই। এবং বিজয়ী নির্বাচন করতে পারো কমেন্টে র্যাটিং এর উপর। এতে করে প্রতিযোগীরা তাদের ফ্রেন্ডদের মেনশন দিয়ে বলবে র্যাটিং দিতে, তোমার মেম্বার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
এই প্রতিযোগিতার পোস্টগুলোকে অনুসরণ করো প্রতিযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে |
যেভাবে সংগ্রহ করবে বই
বই সংগ্রহের ক্ষেত্রে ঢাকার নীলক্ষেত উত্তম। নীলক্ষেত মানেই যেখানে পুরাতন বইয়ের সমাহার। সেখানে গিয়ে পাইকারি দোকানগুলো থেকে বই সংগ্রহ করতে পারো। নীলক্ষেতের যেকোনো দোকানে বলবেন চাচা ২০টাকা পিচ এর বইগুলো দেখান তো, দেখাবে। সেখানে বেশিরভাগই পাঠক প্রিয় কম বই। সেখান থেকে ভালো বইগুলো যেগুলোর পাঠকপ্রিয়তা বেশি সেগুলো বেঁচে নাও।
নীলক্ষেতে লক্ষ করবে রাস্তার পাশে একজন বৃদ্ধলোক চট বিছিয়ে সেখানে অসংখ্য বই ঢেলে পিচ ২০ করে বিক্রি করতেছে। এখানে যে বইটাও নাও না কেনো ২০টাকা করে নিবে প্রতি বই। এখানে অসংখ্য ভালো বই পাবে, সেরা সেরা। এখান থেকে ভালো ভালো বইগুলো সব কিনে ফেলো। ওই লোকের সাথে কথা বলতে পারো, আঙ্কেল পাইকারী মূল্যে একসাথে ৩০ বা ৫০ বা ১০০টা বই কিভাবে নিতে পারি? তিনি বলে দিবেন। নীলক্ষেতের ভিতরেই আসে কেজিতে কেনা বইগুলো। ওখানে কেজিতেও পাওয়া যায়, তবে সেগুলো বই বিক্রেতাদের জন্য। তুমি সেখান থেকে সংগ্রহ করার চেষ্ঠা করো যেহেতু তুমিও এখন একজন বই বিক্রেতা।
অথবা তুমি যদি ঢাকার বাহিরের হয়ে থাকো তবে সন্ধান করো পাইকেরি কেজিতে কোথায় বই বিক্রি করে অথবা পিচে। সেখান থেকে সংগ্রহ করো বইগুলো।
যেভাবে ডেলিভারি দিবেন অর্ডারকৃত বই
বইয়ের অর্ডার পাওয়ার পর সেটি ডেলিভারি দাও কুরিয়ারের মাধ্যমে। অবশ্যই আগে পেমেন্ট নিতে ভুলবেনা বিকাশ বা নগদ মোবাইল ব্যাংকিং বা যে একাউন্ট আপনার আছে। বিকাশ পেমেন্ট অবশ্যই রাখো।
ডেলিভারি চার্জ অবশ্যই ৫০ এর বেশি নিবে না
এরপর অর্ডারকৃত বইটি কাগজ দ্বারা সুন্দরভাবে প্যাকিং করো। পলিমার দ্বারা এবং কুরিয়ারের কাছে পলিব্যাগে প্যাকিং করো না এতেকরে ডেলিভারি চার্জ কুরিয়ার ১০০টাকা নিবে। তাছাড়া এটা পরিবেশের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। কাজেই পলিমার বর্জন করে কাগজ দ্বারা বাসাতেই প্যাকিং করে তার উপরে ঠিকানা লেখো। অবশ্যই প্রেরণ ঠিকানায় তোমার প্রতিষ্ঠানের নাম দিবে।
কুরিয়ার আপনার কাছ থেকে ২-৩টা বইয়ের জন্য নিবে ৪০টাকা। এবং ৪-৫টার ক্ষেত্রে ৫০ এবং তার উপরে ৬-৯টার ক্ষেত্রে ৭০টাকা এভাবে বাড়বে।
যখন তুমি প্রথম ডেলিভারি দিতে যাবে, কুরিয়ারে বলে রাখতে পারো। অনলাইন অর্ডারের প্রডাক্ট পাঠাতে বিশেষকরে বই পাঠাতে ডেলিভারি চার্জ খুব বেশি লাগেনা। প্রথম অর্ডার ডেলিভারি দিলে তোমার এ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হবে।
প্যাকিং করো এভাবে। উপরে প্রেরক ও প্রাপক ঠিকানা। প্রিন্টার থাকলে প্রিন্ট করে লিখো। না থাকলে কলম বা মার্কার দিয়েই লিখতে পারো। |
ক্যাশঅন ডেলিভারিঃ ক্যাশঅন ডেলিভারি আগে চালু না করাই উত্তম। তবে ক্যাশঅনের ক্ষেত্রে অন্তত ডেলিভারি চার্জটা আগে নিতে পারো। কারণ অনেকে বই ক্যাশঅনে অর্ডার দিয়ে আবার ব্যাক পাঠায়, তখন কুরিয়ার চার্জটা তোমার লস। কাজেই চেষ্ঠা করো ক্যাশঅন ডেলিভারির ক্ষেত্রে আগে কুরিয়ার চার্জটা নেয়ার। কুরিয়ারকে বললেই তাঁরা ক্যাশঅনে পাঠাবে কন্ডিশন COD জুড়ে দিয়ে। এটা খুব একটা কঠিন কাজ না। তবে ক্যাশঅন ডেলিভারি চালু করলে তোমার সেল বাড়বে দ্রুত। কারণ অনেকে ট্রাস্টেড মনে করেন না, বিশেষকরে বাংলাদেশে।
কাস্টমারদের থেকে রিভিউ নাও
অর্ডারকৃত বইগুলো যত্নসহকারে পাঠানোর চেষ্ঠা করো। ভিতরে বুক মার্কার তৈরি করে দিতে পারো। খুব সহজেই কাগজ দিয়ে সুন্দর করে বুক মার্কার বানানো যায়। এমনভাবে করো যেনো ক্রেতারা রিভিউ দিতে পারে। তাদের বলে দাও যে তাঁরা বই পেয়ে যেনো পেইজে একটা রিভিউ দেয় বা গ্রুপে একটা পোস্ট দেয় বা পেইজের পোস্টবক্সে। অনেকটা অনুরোধের সহিত বলো। এতে করে মানুষের মধ্যে বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি পাবে এবং পেইজের রিচও অনেক বেড়ে যাবে। প্রতিটা অর্ডার পাঠানোর পর তার থেকে ফিডব্যাক নাও।
যেসকল বই স্টকে রাখতে ভুলবেন না
বর্তমানে হুমায়ূন আহমেদ এবং জাফর ইকবালের বইগুলোর চাহিদা সর্বাধিক। বিশেষকরে হুমায়ূন আহমেদের। বর্তমানে সদ্য গড়ে ওঠা পাঠকমহল হুমায়ূনের বই ছাড়া খুব একটা বোঝে না। তাছাড়া হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো নতুন পাঠক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সর্বাধিক যার ফলে হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। কাজেই হুমায়ূন আহমেদ এবং জাফর ইকবাল স্যারের বই সংগ্রহ করো বেশি বেশি।
বিখ্যাত কথাসাহিত্যিকদের বই সংগ্রহ করতে একদমই ভুলো না। কারণ বইপোকাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো খুব একটা পছন্দের না। তবে বইপোকারা হুমায়ূন আহমেদের বই সেই শৈশবেই পড়ে ফেলেছে। তাই বড় বড় সাহিত্যিক যেমন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর, তারাদাস, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শিবরাম চক্রবর্তী, সৈয়দ মুজতবা আলী, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সমরেশ মজুমদার, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, নিমাই ভট্রাচার্য, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, বুদ্ধদেব গুহ, শরদিন্দু, সুনীল, শীর্ষেন্দু ইত্যাদি এদের বই সর্বদা রাখো।
তবে একাডেমিক বই খুব বেশি না রাখার চেষ্ঠা করো। রেখো তবে উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ম্যাথ এগুলো আর ভার্সিটি অ্যাডমিশনের বইগুলো রাখতে ভুলো না বিশেষকরে উদ্ভাসের বইগুলো। তবে বেশি বেশি রাখো ফিকশন এবং নন-ফিকশন বইসমূহ।
ফিকশনঃ গল্প, উপন্যাস, কৌতুক এইধরনের বইসমূহকে বলে ফিকশন বই।
নন-ফিকশনঃ যেসকল বই প্রবন্ধ, রচনা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদি ঐসকল বই হলো ননফিকশন বই। অর্থাৎ যা গল্প উপন্যাস নয়।
বিভিন্ন অফার ও প্রতিযোগিতা দাও
পেইজে, আইডিতে এবং গ্রুপে মাঝে বিভিন্ন অফার দিতে ভুলো না। এতে করে তোমার সেল বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মাঝে গ্রুপে বা পেইজে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা কুইজ দিতে দাও। এতে করে তোমার গ্রুপের মেম্বার বা পেইজে লাইক বৃদ্ধি পাবে। ফলে তোমার পেইজ বা গ্রুপ দ্রুত গ্রো করবে।
অনুসরণ করো সফল বই ব্যবসায়ীদের
আমার বন্ধু ও পরিচিত মহলের অনেকে রয়েছে, যারা সফল বই বিক্রেতা। ওদের ফলো করতে পারো। বিশেষকরে অনলাইনে বর্তমানে বইনগর বেশ জনপ্রিয় বই বিক্রেতা। তাদের নিয়ে নিউজপেপারে পর্যন্ত ফিচার হয়েছিলো। তাদের পেইজের কার্যক্রমগুলো অনুসরণ করতে পারো। তাঁরা শুরু করেছিলো পুরাতন বই দিয়ে, এখন তাঁরা নতুন বই বিক্রি করে।
আরও রয়েছে বইফেরী
প্রথমদিকে যেগুলোতে ফোকাস দিতে হবে
উপরুক্ত গ্রুপগুলোতে যুক্ত হয়ে প্রথমদিকে এই গ্রুপগুলোতে বই বিক্রয় পোস্ট দাও। এইসকল গ্রুপে নতুন পুরাতন বই বিক্রয় করা যায়। এই গ্রুপগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত।
নিজের গ্রুপটার পাবলিসিটি বাড়ানোর চেষ্ঠা করো। নিজের গ্রুপে অনেক বেশি বই সেল করা যায়। গ্রুপের রিচ বাড়াও নিয়মিত পোস্ট করে।
ফেসবুক আইডির ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে পারো বৈতরণী'কে। ইনি আমার পরিচিত একজন বই বিক্রেতা এবং ইনি সফলও। ফেসবুকে বৈতরণী লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবে তার আইডিটি।
শেষকথা
নীলক্ষেতের আশপাশে বা ঢাকায় যারা বসবাস করো বিশেষকরে ঢাবি, বুয়েট, ঢাকা কলেজ, নটরডেম, ভিকারুন্নেসা, ইডেন ইত্যাদি কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছো তাঁরা নির্দিধায় শুরু করে দিতে পারো। লেগে থাকো, সফলতা আসবেই। ছাত্রজীবনে পুরাতন বই বিক্রয় একটা মহৎ পেশা।
Nazir You have Done and are doing a great work you may not know.
ReplyDeleteThanks a lot vai...
Delete