pending backend verification মানে কি? Backend সমস্যার সমাধান |
pending backend verification হলো পাসপোর্ট প্রাপ্তির একটি ধাপ। এটি পাসপোর্ট প্রাপ্তির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর মধ্যে একটি। এই ধাপে আবেদনকারীর সম্পর্কে সরকারের কাছে থাকা যাবতীয় ডাটাবেজ সোর্চ থেকে তার সম্পর্কে তথ্য যাচাই করা হয়।
পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে Enrollment in process ধাপের পর অধিকাংশেরই pending backend verification স্ট্যাটাসটি দেখায়। এই ধাপে পাসপোর্ট আবেদন থাকার ক্ষেত্রে চিন্তার কোনো কারণ নেই। পাসপোর্ট আবেদনের সময় যদি সকল তথ্য ঠিক থাকে, তাহলে এটি ২/৭ দিনের মধ্যে পরবর্তী ধাপ Pending for SB Police verification এ চলে যাবে। অনেক সময় ২ সপ্তাহ ও লেগে যেতে পারে।
pending backend verification যদি দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে থাকে, তবে এটি চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে নিশ্চয়ই আবেদনের সময় কোনো তথ্যে ভুল রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্রুত যেতে হবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে। সেখানে গেলে কোনো সমস্যা না থাকা সত্বেও pending backend verification এ আটকে থাকলে বা ছোটোখাটো ভুল থাকলে সমাধান হয়ে যাবে ২ মিনিটেই।
pending backend verification মানে কি
pending backend verification হলো পাসপোর্ট প্রাপ্তির একটি ধাপ। এটি পাসপোর্ট প্রাপ্তির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এই ধাপে আবেদনকারীর সম্পর্কে সরকারের কাছে থাকা যাবতীয় সোর্চ থেকে তার সম্পর্কে তথ্য যাচাই করা হয়।
pending backend verification ধাপে আবেদনকারীর সকল তথ্য যেমন আবেদনকারীর নাম জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অথবা জন্মসনদের নম্বরে থাকা তথ্যসমূহ হতে আবেদনকারীর তথ্যসমুহ, আবেদনকারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট মিল করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিঙ্গার প্রিন্টের সাথে, মুখের ছবি, আইরিশ স্ক্যান স্বাক্ষর এবং যদি পুরাতন পাসপোর্ট থেকে থাকে তবে সেই পাসপোর্টের তথ্যের সাথে যাচাই করা হয়। এই সম্পূর্ণ কাজটি করা হয় কম্পিউটার অটোমেটিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
pending backend verification কীভাবে হবে?
pending backend verification এ সাধারণত যেভাবে হয় বা যেসকল তথ্য যাচাই করা হয় তা নিম্নে দেওয়া হলো-
- আবেদনকারীর দেওয়া তথ্যসমূহ
- আবেদনের সাথে দেয়া প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সমূহ
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদে উল্লেখিত তথ্যসমূহ
- পুরাতন পাসপোর্টের তথ্যসমূহ (যদি থাকে)
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারীর স্বাক্ষর
- আবেদনকারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট
- আবেদনকারীর আইরিশ স্ক্যান
pending backend verification ধাপে মূলত আবেদনকারীর এই সকল তথ্য যাচাই করা হয়। এবং এই সম্পূর্ণ প্রসেসটি সরকারের ডাটাবেজে থাকা তথ্য অনুযায়ী সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটিক্যালি যাচাই করা হয়ে থাকে।
যদি এইসকল তথ্যের কোনো একটির অমিল থাকে তবে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রাপ্তির পরবর্তী ধাপে যেতে সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। তবে যদি কোনো সমস্যা বা অমিল না থেকে সেক্ষেত্রে ২ সপ্তাহের মধ্যে এই স্টেপটি সমাধান হয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যায়। তবে ছোটোখাটো ভুল থাকলে সেক্ষেত্রেও কিছু সময় নিয়ে আপনাতেই এই স্টেপ পরিবর্তন হয়ে যায়।
pending backend verification কেন হয়?
আবেদনকারীর দেয়া তথ্যসমূহ সরকারের কাছে থাকা ডাটাবেজ থেকে যাচাই-বাচাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে pending backend verification হয়ে থাকে। এটি থাকে ১/৩ দিন অথবা সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ।
pending backend verification সমস্যা বুঝবো কীভাবে?
pending backend verification সমস্যা বুঝতে হলে আপনাকে চেক করতে হবে ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস। অর্থাৎ পাসপোর্টটি কোন ধাপে রয়েছে এটি চেক করতে হবে। পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম বা কীভাবে ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা যায় সে বিষয়ে আমাদের পূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে ভিন্ন একটি নিবন্ধ, পড়ে নিন সেই নিবন্ধটি এবং চেক করুন আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা।
ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম
পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার সময় দেখুন নিচের লেখাটি দেখাবে;
Enrollment pending backend verification
Dear (_____), Your e-passport application is pending for backend verification (Basic Checks Clearance or ABIS Check Clearance) process in central system.
এই স্ট্যাটাসটি যদি ২ সপ্তাহের অধিক সময় ধরে থাকে তবে ধরে নিতে হবে , কোনো একটা সমস্যা আছে। অথবা নিচের মতো লেখা দেখাবে। এর যেকোনো একটি দেখালেই বুঝবেন আপনার আবেদনে কিছু ভুল রয়েছে। ভুলের বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। যেমন - Basic Check Clearance অথবা ABIS Check Clearance.
এক্ষেত্রে প্রতি দুদিন পর পর চেক করুন আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা বা ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস।
pending backend verification সমস্যার সমাধান করবো কীভাবে?
pending backend verification স্টেপ ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে থাকলে দ্রুত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে রওয়ানা দিন। সেখানে সরাসরি পরিচালক অথবা সহকারী পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করুন। তাকে বলুন আপনার সমস্যার কথা। বলুন অনেকদিন ধরে আপনার পাসপোর্ট আবেদনটি pending backend verification এ আটকে রয়েছে। তিনি দ্রুত সমাধান করে দিবেন।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক বা সহকারী পরিচালকই একমাত্র ব্যাক্তি, যিনি pending backend verification সমস্যার সমাধান সহ আপনার পাসপোর্টে দেয়া যেকোনো ভুল তথ্য সমাধান করতে পারে। কাজেই দ্রুত তার সাথে যোগাযোগ করুন। সমাধান হয়ে যাবে। ছোটখাটো সমস্যা হলে ২ মিনিটেই সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার সমস্যাটি যদি জটিল হয়ে থাকে, তবে তিনিই আপনাকে সমস্যা সমাধানের পথ বাৎলে দিবেন। এক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টস লাগতে পারে। কাঙ্ক্ষিত ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে যাবেন। আপনার সমস্যা সমাধানের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। এবং সমাধানও হয়ে যাবে দ্রুত।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ অবশ্যই একটা বিষয়ে সাবধান থাকবেন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রচুর পরিমানে এজেন্ট থাকে যাদের বাংলায় দালাল বলা হয়। ওরা সমস্যা সমাধানের নামে অর্থ হাতিয়ে নিবে। এমনকি পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত নিম্ন পদে যেমন যে সকল আনসার রয়েছে ওরাই অধিকাংশই এই সকল অনৈতিক লার্যকলাপের সাথে জড়িত। ওরা চাইবেনা আপনি পরিচালক বা সহকারী পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করুন। এ বিষয়ে যথেষ্ঠ সাবধান থাকুন।
আমি নিজেই এমন সমস্যার সম্মুখিত হয়েছিলাম। জরুরী মুহুর্তে পাসপোর্ট করার সময় আমার কিছু ভুলের কারণে অগত্যা অনেক অর্থ তারা আমার থেকে হাতিয়ে নিয়েছিলো। কাজেই সাবধান। অথচ আমি ভাবতাম এতো সহজ কাজে দালাল কীসের! কাজেই এটি এরিয়ে চলুন এবং নিজেই যোগাযোগ করুন সহকারী পরিচালক বা পরিচালকের কাছে, তার পরামর্শ নিয়েই সমাধান করুন আপনার সমস্যা। অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা খুব একটা অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে থাকেনা যতটা থাকেন সেই অফিসের পিয়ন বা নিম্ন পদের কর্মকর্তারা।
এই সম্পূর্ণ কাজটি আপনি নিজে করবেন, এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা হবে। এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় খুব দ্রুত সতর্কতার সাথে করতে পারবেন। কারণ নতুন পাসপোর্ট আবেদন আর পাসপোর্ট রিনিউ প্রসেস একই।
দালাল হইতে সাবধান। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রচুর দালাল রয়েছে। এমনকি সেখানে কর্মরত আনসার বাহিনীরাও এই দালালির সাথে জড়িত। ওদের দেখতে ভালো মনে হলেও একটু ভুল পেলেই ওরা এটাকে কঠিনভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে সমাধানের নামে আপনার থেকে অধিক অর্থ হাতিয়ে নিবে। কাজেই এটি এরিয়ে চলুন এবং নিজেই যোগাযোগ করুন সহকারী পরিচালক বা পরিচালকের কাছে, তার পরামর্শ নিয়েই সমাধান করুন আপনার সমস্যা। অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা খুব একটা অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে থাকেনা যতটা থাকেন সেই অফিসের পিয়ন বা নিম্ন পদের কর্মকর্তারা।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
pending backend verification কি?
pending backend verification হলো পাসপোর্ট প্রাপ্তির একটি ধাপ। এটি পাসপোর্ট প্রাপ্তির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ধাপে আবেদনকারীর সম্পর্কে সরকারের কাছে থাকা যাবতীয় সোর্চ থেকে তার সম্পর্কে তথ্য যাচাই করা হয়।
pending backend verification কেন হয়?
pending backend verification কতদিন থাকে?
pending backend verification সর্বনিম্ন ১/৩ দিন এবং সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।
pending backend verification হলে কি করবো?
pending backend verification স্ট্যাটাসটি যদি ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে তবে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদ এবং ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। সেখানে সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলেই সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে।
শেষ কথা
আমরা এই নিবন্ধে আলোচনা করেছি pending backend verification মানে কি? Backend সমস্যার সমাধান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি। আশাকরি আমাদের এই নিবন্ধটি থেকে সকলে pending backend verification সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন।
pending backend verification সম্পর্কিত বা ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তবে আপনার প্রশ্নটি লিখুন নিচে কমেন্ট সেকশনে। আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে দ্রুত।
পুরাতন পাসপোর্ট দিযেছি, বাবা এবং মা নাম,, ভুল আছে আগের পাসপোর্ট, যেমন, মা নাম Loni সংশোধন নাম Lany, ার বাবা নাম sudir সংশোধন নাম Sudhir,, আর বাকী সব ঠিক আছে,, আপনে সাথে সংশোধন কপি দিয়েছি পুলিশ বেরিবেশন সংশোধন জন্য ডাকাইছে, আইডি কার্ড, বাবা মা আইডি কার্ড, বিদ্যুৎ বিল, কাগজ,নাগরিক সনদ সব কিছু দেওযা পর দেখায় পেন্ডিং বেগিন বেরিবেশন, এখন কু করতে পারি, প্রায় ২৬ দিন হল, কি ভাবে সমস্যা সমস্যা করতে পারি,
ReplyDeleteআপনি কাইন্ডলি আপনি যে পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদন করেছেন, সেখানে যোগাযোগ করুন। ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
Deleteনাম ঠিকানা চেন্ছ করলে কেমন সময় নেয়
ReplyDeleteনাম ঠিকানা চেঞ্জ করতে গেলে নতুন করে আবেদন করতে হবে। একই সময় লাগবে। ১৫-২০ কর্মদিবস।
Delete