সুরমা মেল বা সুরমা এক্সপ্রেস, বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত একটি জনপ্রিয় যাত্রীবাহী মেল এক্সপ্রেস ট্রেন, যা ঢাকা থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে ঢাকা উভয় রুটে নিয়মিত চলাচল করে। সুরমা মেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মেল ট্রেন হওয়ার দরুন, যাত্রাপথে এই ট্রেনটি প্রায় সকল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এবং ভ্রমণে খরচ একেবারেই কম লাগে। তবে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে মোটামুটি বেশ।
 |
| সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী |
আর তাই, এই নিবন্ধে আমরা সুরমা এক্সপ্রেসের সময়সূচী, যাত্রা বিরতি স্টেশন এবং ভাড়ার তালিকা সহ যাবতীয় তথ্যাদি জানবো বিস্তারিতভাবে।
সুরমা মেইল সময়সূচী
সুরমা মেল ট্রেনটি ঢাকা থেকে প্রতিদিন রাত ৯টা ০০ মিনিটে ছেড়ে যায় সিলেটের উদ্দেশ্যে এবং সিলেট পৌঁছায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে।
অন্যদিকে, সিলেট থেকে সুরমা এক্সপ্রেস প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছে।
যাত্রাপথে সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা। এই ট্রেনটির কোনো সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই।
একনজরে সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
| যাত্রাপথ | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর সময় | মোট যাত্রার সময় | সাপ্তাহিক বন্ধ |
|---|
| ঢাকা থেকে সিলেট | রাত ৯:০০ PM | সকাল ৯:১০ AM | ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিট | কোনো বন্ধ নেই |
| সিলেট থেকে ঢাকা | সন্ধ্যা ৭:২০ PM | সকাল ৯:১৫ AM | ১৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট | কোনো বন্ধ নেই |
সুরমা মেল যাত্রা বিরতি স্টেশন
ঢাকা থেকে সিলেটের দীর্ঘ যাত্রাপথে সুরমা এক্সপ্রেস প্রায় সবকটি স্টেশনেই যাত্রাবিরতি দেয়, যা যাত্রীদের সেবা দেয়ার জন্য সুবিধাজনক। নীচে এই ট্রেনের সকল যাত্রাবিরতি স্টেশনের তালিকা দেওয়া হলো:
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন (যাত্রা শুরু)
- তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন
- বনানী রেলওয়ে স্টেশন
- ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন
- বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- টঙ্গী জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- পুবাইল রেলওয়ে স্টেশন
- নলছাটা রেলওয়ে স্টেশন
- আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন
- ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশন
- ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশন
- জিনারদী রেলওয়ে স্টেশন
- নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন
- আমিরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- খানাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন
- হাটুভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
- মেথীকান্দা রেলওয়ে স্টেশন
- শ্রীনিধি রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতকান্দি রেলওয়ে স্টেশন
- ভৈরব বাজার জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- তালশহর রেলওয়ে স্টেশন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন
- পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশন
- ভাতশালা রেলওয়ে স্টেশন
- আখাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- সিঙ্গারবিল রেলওয়ে স্টেশন
- মেরাসনি রেলওয়ে স্টেশন
- মুকুন্দপুর রেলওয়ে স্টেশন
- হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন
- কাশিমনগর রেলওয়ে স্টেশন
- মনতলা রেলওয়ে স্টেশন
- শাহপুর রেলওয়ে স্টেশন
- তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- ইটাখোলা রেলওয়ে স্টেশন
- নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- ছাতিয়ান রেলওয়ে স্টেশন
- শাহজিবাজার রেলওয়ে স্টেশন
- সুতাং রেলওয়ে স্টেশন
- শায়েস্তাগঞ্জ জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- লস্করপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সাটিয়াজুড়ি রেলওয়ে স্টেশন
- রশিদপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সাতগাঁও রেলওয়ে স্টেশন
- শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন
- ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন
- শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশন
- মনু রেলওয়ে স্টেশন
- টিলাগাঁও রেলওয়ে স্টেশন
- লংলা রেলওয়ে স্টেশন
- কুলাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- ছকাপন রেলওয়ে স্টেশন
- বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন
- ভাটোরা বাজার রেলওয়ে স্টেশন
- মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন
- ফেঞ্চুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশন
- সিলেট রেলওয়ে স্টেশন। (যাত্রা শেষ)
এই যাত্রা বিরতি স্টেশনগুলো যাত্রীদের ওঠানামা এবং স্থানীয় সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার জনগণের জন্য এই স্টেশনগুলোতে সুরমা এক্সপ্রেস যাত্রীদের যাতায়াতের সময়সীমা এবং সুবিধা বৃদ্ধি করে।
সুরমা মেল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মেল ট্রেন হওয়ায় এর ভাড়া বেশ কম। ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা সিলেট থেকে ঢাকা সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ১০০ টাকা।
সুরমা মেল ট্রেনের ভাড়াঃ ১০০ টাকা।
কেন সুরমা মেল বেছে নিবেন?
সুরমা মেল ট্রেনটি বাংলাদেশের মেল ট্রেনগুলোর মধ্যে একটি। মেল ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভাড়া লাগে অনেক কম। ফলে কম খরচে ভ্রমণ করা যায়।
আপনি যদি একজন ব্যাকপ্যাকার কিংবা বাজেট ট্রাভেলার হন, এবং কম খরচে সিলেট থেকে ঢাকা কিংবা ঢাকা থেকে সিলেটে আসতে চান তবে সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আপনার জন্য। কারণ এই ট্রেনের ভাড়া একেবারেই কম।
তবে আপনি যদি বাজেট ট্রাভেলার না হন, এবং আরামদায়ক ভ্রমণ পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনটি এরিয়ে চলাই ভালো। কারণ এই ট্রেনে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা সময় লেগে যায়। গতি অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় কম এবং যাত্রাপথে প্রতিটি স্টেশনেই থামে।
উপসংহার
আশাকরি আমরা সুরমা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া তালিকা ও বিরতি স্টেশন সংক্রান্ত যাবতী তথ্যাদি জানতে পেরেছি। আশাকরি এই নিবন্ধটি সকলের উপকারে আসবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কিংবা ট্রেন সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানার থাকলে লিখুন নিচের মন্তব্য সেকশনে, আপনার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে দ্রুত।
আপনার যাত্রা শুভ হোক!
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।