ভূমিকা
স্টুডেন্ট একাউন্ট যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। শিক্ষাজীবনে অর্থাৎ ছাত্রজীবনে আমাদের অনেক সময় ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময় অধিকাংশ টিউশন ফী কিংবা কোনো পেমেন্ট ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের কোনো ব্যাংক একাউন্ট না থাকার দরুন তাঁরা সেটা দিতে পা্রেনা।
সেরা পাঁচ ব্যাংকের ফ্রী স্টুডেন্ট একাউন্ট |
অনেক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে জড়িত। যারা পেমেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে পরে যান ঝামেলার মধ্যে। ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় পেমেন্ট নিতে পারেননা সহজে। উন্নত দেশগুলোতে দেখা যায়, ছোট বেলা থেকেই সন্তানদের সেভিংসের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক একাউন্ট করে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী ব্যাংকিং কে ভয় পায়, মনে করে ব্যাংক একাউন্ট মানেই এসব বড়লোকদের ব্যাপার। ব্যাংক একাউন্ট মানে অনেক টাকার প্রয়োজন।
আসলে কিন্তু তা না। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাংক একাউন্ট একদম ফ্রী। অসংখ্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এছাড়াও ফ্রীতে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ডও দেয়া হয় যা দিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো দেশে ট্রানজেকশন করা যায়।
আজকে আমরা জানবো বাংলাদেশের সেরা ৫টি ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে যে ব্যাংক একাউন্টগুলোতে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য অধিক পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা। আমরা সেইসব ব্যাংক একাউন্টের সুযোগ-সুবিধা সমূহ এবং অসুবিধা সহ ওপেনিং প্রক্রিয়া সব জানবো এই কন্টেন্টের মাধ্যমে।
শিক্ষার্থীদের ব্যাংক একাউন্ট থাকা প্রয়োজন কেনো?
ব্যাংকিং বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র-অবস্থায় ব্যাংক একাউন্ট করার গুরুত্ব অনেক। এছাড়াও আপনি যদি শিক্ষার্থী থাকাকালীন অবস্থায় ব্যাংকিং শুরু করেন তাহলে আপনার মধ্যে সঞ্চয়ী অভ্যাস গড়ে উঠবে এবং ব্যাংকিং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যৎ জীবনের সঞ্চয়ের একটা অভ্যাস তৈরি হবে। যেটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং আপনার নিজের সঞ্চয় থেকে নিজে ভবিষ্যতে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এ কারনেই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর একটা করে ব্যাংক একাউন্ট থাকা অতন্তই প্রয়োজন।
সেরা ৫ ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট
১. এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট - AB Bank Student Account
এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট |
এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বর্তমানে ব্যাংকিং স্টুডেন্ট একাউন্টগুলোর মধ্যে সেরা। এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের রয়েছে অসংখ্য সুযোগ সুবিধা। অন্যান্য ব্যাংক একাউন্টগুলোর থেকে এবি ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সর্বাধিক। এক নজরে দেখে নেই এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধাসমূহ।
এবি ব্যাংকের সুবিধা-সমূহ
- কোনো প্রকার একাউন্ট মেইন্টিনেন্ট ফী নেই।
- আপনি ব্যালেন্স একেবারে জিরো করতে পারবেন।
- সম্পূর্ণ খরচ বিহীন ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড। (শুধুমাত্র বছর শেষে ভ্যাটের ৭৫টাকা দিতে হয় তাছাড়া আর কোনো চার্জ নেই)
- চেকবই সম্পূর্ণ ফ্রী।
- ফ্রী পাসপোর্ট ইন্ডোর্সমেন্ট।
- ফ্রী এসএমএস এলার্ট।
- ইন্টারেস্ট পাবেন ৩.৫%।
- অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস।
- এসএমএস এলার্ট এবং কল সেন্টার সুযোগ।
- মোবাইল টপ-আপ সুবিধা
এবি ব্যাংকের অসুবিধা-সমূহ
এবি ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের কোনো প্রকার অসুবিধা নেই। কারণ স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য সব কিছুই ফ্রী এবি ব্যাংকের। এমন কি যে ডেবিট কার্ডটি পাবেন সেটি ডুয়েল কারেন্সি।
ইন্টেরেস্ট রেট
- আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ৩.৫% ইন্টারেস্ট পাবেন
- ইন্টেরেস্ট ক্যালকুলেট হবে প্রতিদিনের ব্যালেন্সের উপর।
- ইন্টারেস্ট যুক্ত হবে আপনার একাউন্টে বছরে দুবার অর্থাৎ জুন এবং ডিসেম্বরে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
এবি ব্যাংক মাইনোর একাউন্টের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে হতে হবে এবং এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট মেজর একাউন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ১৮-২৪ বছরের
মধ্যে হতে হবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এবি ব্যাংকের ব্রান্সে
আপনাকে নিচের ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যেতে হবে একাউন্ট করার জন্য। তবে মাইনোর একাউন্টের ক্ষেত্রে আপনার অভিভাবক অর্থাৎ বাবা অথবা মাকে নিয়ে যেতে হবে এবং মেজর একাউন্টের ক্ষেত্রে আপনি নিজে গেলেই হবে। তবে মাইনোর একাউন্টের ক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেননা।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি।
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- নমিনীর ছবি ১ কপি।
- নমিনীর ছবি জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- ইনকাম সোর্স ডকুমেন্ট (না থাকলে বাবা অথবা মা অথবা ভাই অথবা পরিবারের যেকারো।
- ই-টিন (যদি থাকে)।
- ওপেনিং চার্জ ৫০০টাকা (এই টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে, আপনি যেকোনো সময় তুলে নিতে পারবেন।
এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সাথে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড আবেদন করার পুরো ধাপটি দেখে নিতে পারেন নিচের লিংক থেকে;
যেভাবে খুলবেন এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বিস্তারিত
২. ইবিএল ক্যাম্পাস একাউন্ট - EBL Campus Account
ইবিএল ক্যাম্পাস একাউন্ট |
ইবিএল অর্থাৎ ইস্টার্ন ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্টের ইবিএল ক্যাম্পাস একাউন্ট বর্তমানে ব্যাংকিং স্টুডেন্ট একাউন্টগুলোর মধ্যে সেরা। ইবিএল স্টুডেন্ট একাউন্টের রয়েছে অসংখ্য সুযোগ সুবিধা। এক নজরে দেখে নেই ইবিএল ক্যাম্পাস স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধাসমূহ।
ইবিএল ব্যাংকের সুবিধা-সমূহ
- কোনো প্রকার একাউন্ট মেইন্টিনেন্ট ফী নেই।
- ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড (মাস্টারকার্ড)
- চেকবই সুবিধা।
- ফ্রী ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা
- ব্যালেন্স শূন্য করতে পারবেন।
- ফ্রী পাসপোর্ট ইন্ডোর্সমেন্ট।
- ইনসুরেন্স কভারেজ
ইন্টারেস্ট রেট
- আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ২% ইন্টারেস্ট পাবেন
- ইন্টেরেস্ট ক্যালকুলেট হবে প্রতিদিনের ব্যালেন্সের উপর।
- ইন্টারেস্ট পেতে হলে আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ১০,০০০টাকা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
ইবিএল ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস একাউন্টের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ১৮-২৮ বছরের
মধ্যে হতে হবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্রান্সে
আপনাকে নিচের ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যেতে হবে একাউন্ট করার জন্য। আপনি নিজে গেলেই হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি।
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- নমিনীর ছবি ১ কপি।
- নমিনীর ছবি জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- ইনকাম সোর্স ডকুমেন্ট (না থাকলে বাবা অথবা মা অথবা ভাই অথবা পরিবারের যেকারো।
- ই-টিন (যদি থাকে)।
- ওপেনিং চার্জ ১০০০টাকা (এই টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে, আপনি যেকোনো সময় তুলে নিতে পারবেন।
দেখে নিন কীভাবে ইবিএল ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট করবেন বিস্তারিত;
যেভাবে খুলবেন ইস্টার্ণ (ইবিএল) ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বিস্তারিত
৩. সিটি ব্যাংক কলেজ প্ল্যান - City Bank College Plan
শিক্ষার্থীদের জন্য সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বেস্ট। এদের সার্ভিস অনেক ভালো। এদের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা তবে সুবিধার পাশাপাশি দুই একটা অসুবিধাও রয়েছে। আসুন জেনে নেই সেগুলো;
সুবিধাসমূহ;
- কোনো প্রকার একাউন্ট মেইন্টিনেন্ট ফী নেই।
- আপনি ব্যালেন্স একেবারে জিরো করতে পারবেন।
- ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড।
- ডেবিট কার্ডের ফী প্রথম বছরের জন্য মওকুফ।
- ফ্রী পাসপোর্ট ইন্ডোর্সমেন্ট।
- ফ্রী এসএমএস এলার্ট।
- ইন্টারেস্ট পাবেন প্রতিদিনের ব্যালেন্সের উপর।
- অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস।
- এসএমএস এলার্ট এবং কল সেন্টার সুযোগ।
অসুবিধা সমূহ;
- সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথ সংখ্যা খুব বেশি না তবে ভিসা সাপোর্টেড এটিএম বুথগুলো থেকে টাকা তুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে চার্জ কাটবে ১০টাকা। তবে সব জেলাতেই এটিএম বুথ রয়েছে। এছাড়াও বাইরের দেশে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে অন্যান্য কার্ডের থেকে এ কার্ডে সামান্য বেশি চার্জ কাটে।
- ডেবিট কার্ডের ফী প্রথম বছরের জন্য মওকুফ হলে এরপরের বছর থেকে মাত্র ৫৭৫টাকা করে চার্জ করবে। যেটা মোটামুটি সব ব্যাংকেই দুই একটা ব্যাংক ব্যাতিত।
ইন্টেরেস্ট রেট
- আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ২.৭৫% ইন্টারেস্ট পাবেন
- ইন্টেরেস্ট ক্যালকুলেট হবে প্রতিদিনের ব্যালেন্সের উপর।
- ইন্টারেস্ট পেতে হলে আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০০০টাকা থাকতে হবে।
- ইন্টারেস্ট পাবেন প্রতি মাসে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
কলেজ প্ল্যান একাউন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ১৮-২৪ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি।
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- নমিনীর ছবি ১ কপি।
- নমিনীর ছবি জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- ইনকাম সোর্স ডকুমেন্ট (নিজের না থাকলে পরিবারের যেকারও হলেই হবে)।
- ই-টিন (যদি থাকে)।
- ওপেনিং চার্জ ১০০টাকা (এই টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে, আপনি যেকোনো সময় তুলে নিতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সাথে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড আবেদন করার পুরো ধাপটি দেখে নিতে পারেন নিচের লিংক থেকে;
যেভাবে খুলবেন সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বিস্তারিত
৪. এমটিবি গ্রাজুয়েট একাউন্ট - MTB Graduate Account
শিক্ষার্থীদের জন্য এমটিবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সেরা ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এদের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা তবে সুবিধার পাশাপাশি দুই একটা অসুবিধাও রয়েছে। আসুন জেনে নেই সেগুলো;
সুবিধাসমূহ;
- কোনো প্রকার একাউন্ট মেইন্টিনেন্ট ফী নেই
- আপনি ব্যালেন্স একেবারে জিরো করতে পারবেন
- ফ্রী লাইফ ইনসুরেন্স কাভারেজ
- ফ্রী ডেবিট কার্ড (ডুয়েল কারেন্সি নয়, তবে আপনি চাইলে ভার্সুয়াল ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ফ্রী নিতে পারবেন)
- ফ্রী অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস
- বিভিন্ন ধরনের ডিস্কাউন্ট
- চেক বই
অসুবিধা সমূহ;
এমটিবি ব্যাংকের ডেবিট কার্ডটি ডুয়েল কারেন্সি নয়। তবে আপনি ফ্রী ভার্সুয়াল ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন এমটিবি ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকে।
ইন্টারেস্ট
- আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ১.৭৫% - ২.৫০% ইন্টারেস্ট পাবেন
- ইন্টেরেস্ট ক্যালকুলেট হবে প্রতিদিনের ব্যালেন্সের উপর।
- ইন্টারেস্ট পাবেন প্রতি মাসে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
এমটিবি গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট একাউন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ১৮-২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি।
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- নমিনীর ছবি ১ কপি।
- নমিনীর ছবি জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- ইনকাম সোর্স ডকুমেন্ট (নিজের না থাকলে পরিবারের যেকারও হলেই হবে)।
- ই-টিন (যদি থাকে)।
- ওপেনিং চার্জ ৫০০টাকা (এই টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে, আপনি যেকোনো সময় তুলে নিতে পারবেন।
৫. ঢাকা ব্যাংক স্টুডেন্ট লেজার ইউনিভার্সিটি - Dhaka Bank Student Ledger University
শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা ব্যাংক স্টুডেন্ট লেজার ইউনিভার্সিটি একাউন্ট সেরা ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এদের রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা তবে সুবিধার পাশাপাশি দুই একটা অসুবিধাও রয়েছে। আসুন জেনে নেই সেগুলো;
সুবিধাসমূহ;
- কোনো প্রকার একাউন্ট মেইন্টিনেন্ট ফী নেই
- ফ্রী লাইফ ইনসুরেন্স কাভারেজ
- ডেবিট কার্ডটি ১ বছরের জন্য ফ্রী। পরের বছর গুলো থেকে ৫৭৫টাকা চার্জ।
- ফ্রী চেক বই সুবিধা ৫০ পেজের।
- কোনো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে তাঁরা আপনাকে পুরষ্কৃত করবে। সেটা হতে পারে যেকোনো পরীক্ষায় যেমন মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক অথবা যেকোনো পরীক্ষা বা প্রতিযোগিতা বা অলিম্পিয়াড ইত্যাদি। এটা অনেক ভালো এবং বেস্ট একটা সুবিধা। এই ব্যাংক ব্যাতিত এই সুবিধা অন্য কোনো ব্যাংকে নেই আপাতত।
- প্রতি বছরে অতিরিক্ত ২% ইন্টারেস্ট পাবেন। যেটা অন্য কোনো ব্যাংকে নেই।
ইন্টারেস্ট রেট
- আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ৩.৫০% ইন্টারেস্ট পাবেন
- ইন্টেরেস্ট ক্যালকুলেট হবে প্রতিদিনের ব্যালেন্সের উপর।
- ইন্টারেস্ট পাবেন বছরে দুই বার অর্থাৎ জুন এবং ডিসেম্বরে।
- ইন্টারেস্ট পেতে হলে আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ১০,০০০টাকা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
ঢাকা ব্যাংক স্টুডেন্ট লেজার ইউনিভার্সিটি একাউন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ১৮-২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি।
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- নমিনীর ছবি ১ কপি।
- নমিনীর ছবি জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্ট (যেকোনো একটা)।
- ইনকাম সোর্স ডকুমেন্ট (নিজের না থাকলে পরিবারের যেকারও হলেই হবে)।
- ই-টিন (যদি থাকে)।
- ওপেনিং চার্জ ১০,০০০টাকা (এই টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে, আপনি যেকোনো সময় তুলে নিতে পারবেন।
- অভিভাবকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
ফ্রী ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড সেরা ব্যাংক কোনটা?
বর্তমানে এবি ব্যাংক ফ্রী ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড দিয়ে থাকে স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য। তবে বছরে শুধুমাত্র ৭৫টাকা চার্জ করা হয় এবং ৫০০টাকা চার্জ করা হয়না। শুধু ভ্যাটটা নেয়া হয়।
কোন ব্যাংক একাউন্টে সুবিধা সবথেকে বেশি?
বর্তমানে এবি ব্যাংকে সুযোগ-সুবিধা সবথেকে বেশি। এবি মেজর একাউন্ট শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
কোন ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ভ্রমণের জন্য সেরা?
সিটি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড বর্তমানে ভ্রমণের জন্য সেরা। এই ব্যাংকের সার্ভিস অনেক দ্রুত এবং অনেক নিরাপদ। তবে এই ব্যাংকে বাহিরের দেশে ক্যাশআউট চার্জ অন্যান্য কার্ডের থেকে বেশি। এটি অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড। এবং আরেকটি হলো ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড। এটির চার্জ বেশ কম।
অনলাইনে ট্রানজেকশনের জন্য কোন কার্ড সেরা?
অনলাইন ট্রানজেকশন জন্য বর্তমানে ইস্টার্ন ব্যাংকের মাস্টার কার্ড সেরা। এটি অনেক বেশি দ্রুত কাজ করে। বর্তমানে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড।
ডুয়েল কার্ডে আমি ডলার ব্যবহার করতে পারবো কীভাবে?
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ডলার ব্যবহারের জন্য আপনার বয়স হতে হবে ১৮+ পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে। পাসপোর্ট ইন্ডোর্সমেন্ট করে আপনি ডলার ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যথায় না।
ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড কী?
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হলো এমন এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড যে কার্ডে বাংলাদেশি টাকা এবং ডলার দুইয়ে একসাথে ব্যবহার করা যায়। এই কার্ডে বাংলাদেশি টাকা এবং ডলার ব্যবহার করা এবং লেনদেন করা যায়।
পরিশিষ্ঠ
আপনি উপরের যেকোনো একটি ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আমি ব্যাক্তিগতভাবে সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এবং ইস্টার্ন ব্যাংক এই দুইটা ব্যাংক একাউন্ট এবং ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করি। আপনারা এই দুইটা অথবা এবি ব্যাংক আপনাদের জন্য বেস্ট অপশন হবে যদি আপনি ফ্রী ডেবিট কার্ড উপভোগ করতে চান। অনেকেই ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্যই ব্যাংক একাউন্ট খুলেন। সিটি ব্যাংক ভ্রমণের জন্য ভালো বাইরের দেশে এবং দ্রুত সেবা পাওয়া যায় তবে এটি অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড এবং চার্জ বেশি। ইবিএল ডেবিট কার্ড (মাস্টারকার্ড) বছরে ৫৭৫ অনলাইন ট্রানজেকশনের জন্য বেস্ট। এবং এবি ব্যাংক ফ্রী সার্ভিসের জন্য সেরা।
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।