দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, বিরতি স্টেশন ও ভাড়া তালিকা |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম পরিষেবা শুরু করে ৭ই জুন ১৯৮৬ সালে। দ্রুতযান এক্সপ্রেস প্রথম দিকে দিনাজপুর হতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলাচল করতো, পরবর্তীতে এটি বর্ধিত করা হয় এবং সীমান্তবর্তী পঞ্চগড় টু ঢাকা কমলাপুর পর্যন্ত করা হয়।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়মিত ৫২৬ কিলোমিটার বা ৩২৭ মাইল দূরত্ব ভ্রমণ করে। দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির বগি সংখ্যা মোটে ১২টি।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ঢাকা টু পঞ্চগড় উভয় রুটে নিয়মিত চলাচল করে। এটি বাংলাদেশের অধিক জনপ্রিয় এবং দ্রুতগতিসম্পর্ণ একটি ট্রেন।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড় হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছায় রাত ৬টা ৫৫ মিনিটে। যাত্রাপথে সময় লাগে মোটে ১০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা হতে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে রাত ৮টায় এবং পঞ্চগড়ে পৌঁছায় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট। যাত্রাপথে সময় লাগে মোটে ১০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট।
নিচে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচী টেবিল আঁকারে দেয়া হলোঃ
ট্রেনের নাম |
ছাড়ার সময় |
পৌঁছানোর সময় |
ছুটির দিন |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস Drutojan Express (758) |
পঞ্চগড় হতে 07:20 am |
ঢাকা পৌঁছাবে 06:55 pm | নাই |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস Drutojan Express (757) |
ঢাকা হতে 08:00 pm |
পঞ্চগড় পৌঁছাবে 06:45 am |
নাই |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
অন্যান্য পরিবহনের থেকে ট্রেন ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সুবিধা হলো ট্রেনের ভাড়া অতি সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। অন্যান্য পরিবহনের থেকে অধিক কম হয়ে থাকে। আর তাইতো সকল শ্রেণীর মানুষ ট্রেনে ভ্রমণের সুবিধা পায় সর্বদা। সেই দিক দিয়ে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া অনেক কম।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের সিটে বসে ভ্রমণ করবেন। সিটের ধরন ভেদে ভাড়া ভিন্ন হয়ে থাকে।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা শোভন চেয়ারের ক্ষেত্রে পঞ্চগড় হতে ঢাকা ৬৯৫
টাকা, স্নিগ্ধা চেয়ারে ১৩৩৪ টাকা, এসি এস চেয়ারে ১৫৯৯ টাকা এবং এসি বি
চেয়ারের ক্ষেত্রে ২৩৯৮ টাকা ভাড়া।
নিচে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা টেবিল আঁকারে দেয়া হলোঃ
আসন | মূল্য |
---|---|
এসি_বি | ২৩৯৮ টাকা |
এসি_এস | ১৫৯৯ টাকা |
স্নিগ্ধা | ১৩৩৪ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৬৯৫ টাকা |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথে মোটে ২৩টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যেকোনো যাত্রী এ সকল স্টেশন হতে ওঠা-নামা করতে পারে। এটি দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট। এইসকল স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস থামে। নিচে স্টেশনগুলো দেয়া হলোঃ
- বিমানবন্দর স্টেশন
- জয়দেবপুরে
- যমুনা ব্রিজের পূর্বদিকে
- যমুনা ব্রিজের পশ্চিমে
- ইশ্বরদী বাইপাস
- নাটোর
- সান্তাহার
- আক্কেলপুর
- জয়পুরহাট
- পাঁচবিবি
- বিরামপুর
- ফুলবাড়ি
- পার্বতীপুর
- চিরিবন্দর
- দিনাজপুর
- সেতাবগঞ্জ
- পীরগঞ্জ
- ঠাকুরগাঁও
- রুহিলা
- পঞ্চগড়
দ্রুতযান এক্সপ্রেস এখন কোথায়
দ্রুতযান এক্সপ্রেস এখন কোথায় সেটি জানার ক্ষেত্রে ম্যাসেজ দিতে ম্যাসেজ দিতে হবে Tr<space>757 অথবা 758<space>Drutojan লিখে পাঠাতে হবে 16318 তাহলেই জানা যাবে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখন কোথায় আছে। পরবর্তী যাত্রাবিরতি স্টেশন কোথায়।
উল্লেখ্যঃ এখানে 757 হলো ডাউন ট্রেন অর্থাৎ ঢাকা হতে এবং 758 হলো আপ ট্রেন অর্থাৎ পঞ্চগড় হতে। ঢাকা হতে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রারত অবস্থায় থাকলে 757 কোড ব্যবহার করতে হবে এবং পঞ্চগড় হতে ঢাকা রুটে চলাচলরত অবস্থায় থাকলে 758 কোডটি ব্যবহার করতে হবে।
পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের নাম কি
পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন (B Sirajul Islam)। বাংলাদেশ সরকারের ট্রেইন টিকেট ওয়েবসাইটে এই স্টেশনের নাম B Sirajul Islam.
অনেকেই অনলাইনে টিকিট কাটার সময় Panchagarh লিখে সার্চ দিলে কোনো স্টেশন পাননা ফলে টিকিট কাটতে সমস্যা হয়। যেমনটা হয়েছিলো আমার ক্ষেত্রেও। কারণ স্টেশনের নাম ভুল হলে ই টিকেট ওয়েবসাইটে টিকিট কাটা যায়।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড কত?
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড 757-758. এখানে 757 ডাউন ট্রেন এবং 758 আপ ট্রেন।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের বন্ধের দিন কোনদিন?
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো বন্ধের দিন নেই। সপ্তাহের ৭ দিনই এই ট্রেনটি চলাচল করে।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস কত কিলোমিটার দূরত্ব ভ্রমণ করে?
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়মিত ৫২৬ কিলোমিটার বা ৩২৩ মাইল দূরত্ব ভ্রমণ করে।
পরিশিষ্ঠ
আশাকরি আমরা এই নিবন্ধ থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, বিরতি স্টেশন ও ভাড়া তালিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই নিবন্ধে দ্রুতযান এক্সপ্রেস সময়সূচী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্পর্কে কারও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের কমেন্ট বক্স রয়েছে উন্মুক্ত। কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে লিখুন নিচের কমেন্ট বক্সে। দ্রুত রিপ্লাই প্রদান করা হবে।
আপনার যাত্রা শুভ হোক!
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।