ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ || যেভাবে আমি পেয়েছি ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা

Nir
0
অনেকেই ইন্ডিয়া ভ্রমণে আগ্রহী, কিন্তু ইন্ডিয়ান ভিসা না থাকার দরুন সেটি হয়ে ওঠে না। আর তাই অনেকেই ইন্ডিয়া ভ্রমণের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা করতে আগ্রহী। কিন্তু কিভাবে ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা করতে হয়, ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসা আবেদনের কতদিন পর ভিসাসহ পাসপোর্ট পাওয়া যায় তা জানা নেই। আর তাই এইসকল বিষয় নিয়েই আজকে আমি আলোচনা করবো।  

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

এই নিবন্ধটিতে আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমি আলোচনা করবো। এবং সেই সাথে আলোচনা করবো কিভাবে ২০,০০০ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ছাড়াই ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। 
 
ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের আগে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণটি সকলকে পড়ার অনুরোধ রইলো। এখানে প্রতিটি কথাই প্রয়োজনীয়। অপ্রাসঙ্গিক কোনো কথা উল্লেখ নেই। কাজেই সম্পূর্ণটি পড়ুন। 

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রারম্ভে আমাদের জানা উচিৎ ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কী কী। ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলোঃ
  1. অনলাইনে আবেদনপত্র ফরম পূরণ প্রিন্ট কপি। 
  2. পাসপোর্টের ফটোকপি। 
  3. ১ কপি সদ্য তোলা (৩ মাসের বেশী পুরোনো নয়) ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি। অবশ্যই সম্পূর্ণ মুখমন্ডল যেনো দেখা যায় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে ।
  4. জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদ। জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিবেন। (যেকোনো ১টির ফটোকপি দিতে হবে)
  5. বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসবিল অথবা টেলিফোন বিলের কপি। (যেকোনো ১টির ফটোকপি দিতে হবে) 
  6. পেশা প্রমাণ/ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি অথবা চাকরিজীবী হলে এনওসি এর কপি (১ কপি)
  7. বাবা এবং মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। (ঐশ্চিক)
  8. শেষ পাসপোর্ট এবং সকল পুরাতন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। 

এই সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য। আমি একজন স্টুডেন্ট, আমার যেসকল ডকুমেন্টস লেগেছিলো সেই সকল ডকুমেন্টস সমূহ নিচে দেয়া হলোঃ

  1. অনলাইনে আবেদনপত্র ফরম পূরণ প্রিন্ট কপি।
  2. পাসপোর্টের ২, ৩ পেজের ফটোকপি। 
  3.  ১ কপি সদ্য তোলা (৩ মাসের বেশী পুরোনো নয়) ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি। অবশ্যই সম্পূর্ণ মুখমন্ডল যেনো দেখা যায় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে ।
  4. বিদ্যুৎ বিলের কপি। 
  5. ডলার ইন্ডোর্সমেন্টের কপি। 
  6. বাবা মায়ের ভোঁটার কার্ডের কপি। 

এইতো এইসকল কাগজপত্রই লেগেছিলো আমি যখন আবেদন করেছিলাম সে সময়ে। আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনারও এইসকল কাগজপত্র হলেই হবে। এর বাইরে আর কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। 

 

বিঃদ্রঃ অনেকে জমির পর্চার কথা বলে। আসলে জমির পর্চার কোনো কপি লাগেনা। আমি জমির পর্চার কপি ছাড়াই ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পেয়েছি প্রথমেই। তাছাড়া ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে জমির পর্চার কথা উল্লেখও নেই। কাজেই জমির পর্চার ফটোকপির প্রয়োজন নেই। 


কিভাবে ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করবো

ফরম পূরণ

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার ফরম অনলাইনে পূরণের মাধ্যমে বাসাতেই আবেদন করা যায় নিজে থেকেই। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি একটু জটিল ও সময় সাপেক্ষ। আপনি নিজে থেকে বাসাতে আবেদন করলে আপনার ভুলও হতে পারে, এমনকি ইউটিউব দেখে আবেদন করলেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ অনেক অপশন আপনি নাও বুঝতে পারেন। আর আবেদনের সময় কোনো তথ্যের ভুল হলে আপনি ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পাবেন না। 


কাজেই ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট আবেদনের ক্ষেত্রে দক্ষ কারও থেকে আবেদন করে নিন। যেমন আমি আবেদন করেছি আমার নিকটস্থ এম্বাসি বা আইভ্যাক এর সামনে থাকা দক্ষ একটা দোকান থেকে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরনের জন্য আপনার পাসপোর্ট হলেই যথেষ্ঠ। কারণ সেখানকার তথ্যসমূহই দিতে হয়। এছাড়াও দিতে হয় কোন হোটেলে থাকবেন সেই হোটেলের নাম্বার এবং ইন্ডিয়ান কেউ পরিচিত থাকলে তার নাম্বার। এটা করে থাকে সেই সকল দোকানগুলোই যেখান থেকে ফরম পূরন করে নিবেন। তাদের থেকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে করা যায় তবে মনে রাখবেন, কোনো কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে ১০০-২৫০ টাকার বেশি লাগেনা। অনেকে আপনার থেকে বেশি চাইতে পারে, তখন তাকে এভোয়েড করে চলুন। সেখানে আরও অনেক দোকান পাবেন। 


এরপর আবেদন ফরম ভালোভাবে রিভিশন দিন কোথাও ভুল আছে কি না। এই কাজটা মূলত তারাই দক্ষতার সাথে করে থাকেন। কারণ তথ্যের সঠিকতার উপর নির্ভর করে ভিসা পাবেন কি না। কাজেই তারপরও আপনিও রিভিশন দিয়ে নিন কোথাও ভুল আছে কি না। এরপর ফিসা ফী পরিশোধ করুণ। তারাই পরিশোধ করে দিবে তাদের বললে। সেক্ষেত্রে ফিসা চার্জ সহ তারা নিবে ৮৫০টাকা। তবে ৮২৫টাকা লাগে ইন্ডিয়ান ভিসা ফী নিজে থেকে পরিশোধ করলে। তবে যাদের থেকে আবেদন করেছেন তাদের থেকেই ভিসা ফী পরিশোধ করুণ। এরপর যা যা ডকুমেন্টস লাগবে তারাই বলে দিবে। সেই ডকুমেন্ট গুলো দিন তাদের। তারা সুন্দর করে সাজিয়ে দিবে। এরপর নিয়ে যান এম্বাসিতে। 


বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন এম্বাসিতে ঢোকার আগে ফোন অফ রাখবেন এবং ফোন পকেটে রাখবেন সেই সাথে কোনো ব্যাগ নিয়ে যাবেন না। এটা তাদের নিয়ম। ফাইল নিয়ে যেতে পারেন। 


এম্বাসিতে ফাইল জমা

এম্বাসিতে ঢুকেই সেখানে একজন ব্যাক্তি দাড়িয়ে রয়েছে, তাকে বলুন আমি ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করবো। তিনি আপনাকে একটা স্লিপ দিবেন। তার থেকে একটা স্লিপ নিয়ে সেখানে থাকা চেয়ারগুলোর মধ্যে একটি ফাঁকা চেয়ারে বসে পড়ুন। আপনার নাম্বার ডাকা হলে আপনি যত নাম্বারে ডাকবে সেখানে যান। ডকুমেন্টস গুলো জমা দিন। তারা ডকুমেন্টগুলো ভালোভাবে চেক দিয়ে জমা নিবে। এরপর সেখানে বায়োমেট্রিকসের জন্য ডাকা হলে সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিকস দিন। বায়োমেট্রিক শেষে তারা আপনাকে একটা ডেলিভারি স্লিপ দিবে। এইতো কাজ শেষ। এখন বেরিয়ে আসুন। চলে যান বাসাতে। তবে অবশ্যই ডেলিভারি স্লিপটা ভালোভাবে সংরক্ষনে রাখবেন। কারণ এই স্লিপ হারায় গেলে পাসপোর্ট হাতে পাবেন না। 


ভিসাসহ পাসপোর্ট সংগ্রহ

ডেলিভারি স্লিপে ডেলিভারির ডেটের মধ্যে অথবা আগে অথবা কয়েকদিন পরে আপনার নাম্বারে ম্যাসেজ আসবে যে নাম্বারটি আবেদন ফরমে দিয়েছেন সেই নাম্বারে পাসপোর্ট কালেক্ট করার জন্য। ম্যাসেজ আসার পরের দিনই চলে যান যেখানে ভিসা ফাইল জমা দিয়েছেন সেখানে। সংগ্রহ করুণ পাসপোর্ট। দেখুন ভিসা হয়েছে কি না। পাসপোর্ট কালেক্টের জন্য যখন ম্যাসেজ আসবে, তখন ডেলিভারি স্লিপে ডেলিভারি ডেট এর পাশে দেখুন টাইম উল্লেখ করা রয়েছে, যেমন ২-৪টা। অবশ্যই সেই টাইমে যাবেন। 


এই প্রসেসেই আমি ইন্ডিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করেছি এবং আলহামদুলিল্লাহ্‌ প্রথম টাইমেই ভিসা পেয়েছি। আপনিও এই একই প্রসেস অবলম্বন করুণ। ইনশাআল্লাহ্‌ ভিসা পাবেন। 


ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে সাধারণত ২০-৩০ দিন লাগে। অনেক সময় এর কম বেশিও লাগতে পারে। তবে ডেলিভারি স্লিপে উল্লেখিত কার্যদিবসের মধ্যে ইন্ডিয়ান ভিসা অধিকাংশ সময়েই হয়ে থাকে। 


আমি নিজে যখন ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করেছিলাম, তখন আমার ডেলিভারি স্লিপে উল্লেখ ছিলো ২৮ দিন পর। কিন্তু আমি পাসপোর্টসহ ভিসা পাইছি ৩৩ দিন পর। আসলে কতদিন সেটা উল্লেখ থাকে না, উল্লেখ থাকে কত তারিখ সেটি। 


ইন্ডিয়ান ভিসার মেয়াদ কতদিন

সচরাচর ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৩ মাস, ৬ মাস অথবা ১২ মাসের জন্য। একজন ব্যাক্তি ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ইন্ডিয়ায় অবস্থান করতে পারবে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত, এর বেশি নয়।  


আপনি যখন ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন, তখন আবেদন ফরমে উল্লেখ করতে হবে আপনি কত মাসের জন্য আবেদন করবেন। তখন আবশ্যই ১২ মাস দিবেন। কারণ ১২ মাস দিলে আপনি ১২ মাসের জন্য ভিসা নাও পেতে পারেন। অধিকাংশই পায়না, কেউ ৩ মাস আবার কেউ ৬ মাসের জন্য পায়। যেমন আমি পেয়েছিলাম ৬ মাসের জন্য। বর্তমানে কমবেশি সবাই ৬ মাসের জন্যই পায়।

 

সেইসাথে অবশ্যই মাল্টিপল এন্ট্রিস উল্লেখ করবেন। মাল্টিপল এন্ট্রি মানে একাধিকবার ইন্ডিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন। তবে মাল্টিপল দিলে যে তারা মাল্টিপল এন্ট্রি দিবে তা নয়, অনেক সময় সিংগল এন্ট্রি অথবা ট্রিপল এন্ট্রিস দেয়। যেমন আমি পেয়েছিলাম ট্রিপল এন্ট্রিস অর্থাৎ ৬ মাসে ৩ বার ইন্ডিয়া যেতে পারবো। আর সিংগল এন্ট্রি দিলে একবারই শুধু ইন্ডিয়া যেতে পারবেন একটা ভিসা দিয়ে।  


ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ডলার এনডোর্স

 ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য দুভাবে ডলার ইন্ডোর্স করা যায়। যেমন; 

  • ক্যাশ ডলার ইন্ডোর্স
  • কার্ড ডলার ইন্ডোর্স

ক্যাশ ডলার ইন্ডোর্সঃ ক্যাশ ডলার ইন্ডোর্স হলো কোনো একটি ব্যাংকে গিয়ে নগদ টাকা দিয়ে ডলার ইন্ডোর্স করা। সেই ডলার আবার যেকোনো সময় তুলতে পারবেন। ডলার ইন্ডোর্স করার সময় পাসপোর্টের পিছনে সিল মেরে দেন ব্যাংক থেকে। সেই সিলের ফটোকপি ব্যাংক স্টেটমেন্ট হিসেবে দিতে হয়। 

 

কার্ড ডলার ইন্ডোর্সমেন্টঃ আপনার যদি কোনো ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থেকে থাকে তবে আপনি কার্ড ডলার ইন্ডোর্স করতে পারবেন। কার্ড ডলার ইন্ডোর্সমেন্ট যে ব্যাংক থেকে আপনি ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড নিয়েছেন সেই ব্যাংকে গিয়ে আপনার কার্ডে ১০০০ ডলার ইন্ডোর্স করান। অর্থাৎ আপনি আপনার ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ডে যেকোনো সময় ১ বছরে সর্বোচ্চ ১০০০ ডলার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। কার্ড ডলার ইন্ডোর্সমেন্ট একদম ফ্রী। কোনো ক্যাশ টাকা দিতে হয় না। ডলার ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ভরালেই হলো। প্রয়োজন না হলেও কোনো সমস্যা নেই। এটা সম্পূর্ণটাই আপনার ইচ্ছা। তবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ডলার ইন্ডোর্স থাকলে আপনি নিজেই আপনার কার্ড দিয়েই ইন্ডিয়ায় গিয়ে বা দেশে বসেই ইন্ডিয়ান ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন ফরেন একাউন্ট থেকে। টাকা পাঠাতে পারবেন আপনার কার্ড থেকেই। 

 

আমার সিটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কারেন্সি কার্ড ছিলো, আমি নিজেই কার্ড ডলার ইন্ডোর্স করেছি এবং ইন্ডোর্স এর ফটোকপি ও কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভিসাও পেয়েছিলাম ৬ মাসের ট্রিপল এন্ট্রিস। 

 

কিভাবে কার্ড ডলার ইন্ডোর্সঃকার্ডে পাসপোর্ট ইন্ডোর্স করবো

আমি কার্ড ডলার ইন্ডোর্স করার জন্য আমার সিটি ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ও আমার পাসপোর্ট নিয়ে আমি যে শাখায় একাউন্ট করেছি সেই শাখায় গিয়েছি। তাদের বলেছি আমি আমার কার্ডে ডলার ইন্ডোর্স করবো। তারা আমাকে ১০০০ ডলার ইন্ডোর্স করে দিয়েছে। 


তারা একটা ফরম নিয়ে পূরণ করলো এবং কার্ড ও পাসপোর্ট নিয়ে তারা ডলার ইন্ডোর্স করে দিলো। পাসপোর্টের শেষে তারা সিল মেরে দিলো। এইতো হয়ে গেলো কাজ শেষ। 


জরুরী বিষয়ঃ ব্যাংক স্টেটমেন্ট ৬ মাসের দিতে হয়। যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা একটা একাউন্ট করে ডেবিট কার্ডের আবেদন করে সেই কার্ডে পাসপোর্ট ইন্ডোর্স করে। কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন এবং কার্ড আবেদন করবেন সে সম্পর্কে পড়ুন বিস্তারিত;

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তবে সেরা স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট গুলোতে কিভাবে একাউন্ট করবেন এবং ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ডের আবেদন করবেন সে বিষয়ে পড়ুন বিস্তারিত;

যেভাবে খুলবেন সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বিস্তারিত

যেভাবে খুলবেন এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বিস্তারিত

যেভাবে খুলবেন ইস্টার্ণ (ইবিএল) ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বিস্তারিত

জরুরী বিষয়ঃ ব্যাংক স্টেটমেন্ট ৬ মাসের দিতে হয়। যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা একটা একাউন্ট করে ডেবিট কার্ডের আবেদন করে সেই কার্ডে পাসপোর্ট ইন্ডোর্স করে।

 

সচরাচর জিজ্ঞাসা

ইন্ডিয়ান ভিসা ফী কত?

ইন্ডিয়ান ভিসা ফী ৮০০টাকা। অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন করতে করতে ৮০০টাকা লাগে। 

 

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত?

সচরাচর ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৩ মাস, ৬ মাস অথবা ১২ মাসের জন্য। একজন ব্যাক্তি ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ইন্ডিয়ায় অবস্থান করতে পারবে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত, এর বেশি নয়।  

 

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে? 

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে সাধারণত ২০-৩০ দিন লাগে। অনেক সময় এর কম বেশিও লাগতে পারে। তবে ডেলিভারি স্লিপে উল্লেখিত কার্যদিবসের মধ্যে ইন্ডিয়ান ভিসা অধিকাংশ সময়েই হয়ে থাকে। 


পরিশিষ্ঠ

আশাকরি এই নিবন্ধের মাধ্যমে সকলে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সক্ষম হয়েছেন। এই নিবন্ধে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি তুলে ধরেছি। ইন্ডিয়ান ভিসা সংক্রান্ত কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে করুণ কমেন্ট বক্সে, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে দ্রুত। 


আরও পড়ুন

ভারতীয় ভিসা চেক করার নিয়ম

Post a Comment

0Comments

এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!