বেনাপোল বর্ডারে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করার নিয়ম: STEP by STEP
বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণ করা খুবই সহজ। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করলে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আপনি যাত্রা শুরু করতে পারবেন। এই নিবন্ধটি আপনাকে ধাপে ধাপে বেনাপোল ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করবে।
বেনাপোল বর্ডারে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করার নিয়ম |
বেনাপোল বর্ডারের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া
বেনাপোল স্থলবন্দরে আসার পর প্রথমেই আপনাকে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে হবে:
- পাসপোর্ট
- ট্রাভেল ট্যাক্সের কপি
- পোর্ট ট্যাক্সের কপি
- পেশার প্রমাণপত্র (যেমন, স্টুডেন্ট আইডি, এনওসি বা চাকরির প্রমাণপত্র)
এগুলো হাতে রেখে লাইনে দাঁড়ান এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন। নতুন হলে, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য ভ্রমণকারীদের অনুসরণ করতে পারেন।
দালালদের প্রস্তাব থেকে সর্বদা সতর্ক থাকুন: বেনাপোল বর্ডারে অনেক দালাল রয়েছে যারা টাকা নিয়ে দ্রুত কাজ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেবে। এই প্রস্তাব পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন, কারণ বেনাপোল বর্ডারের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং আপনি নিজেই এটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করার নিয়ম
বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে আপনার ডকুমেন্টস চেক করার পর জিরো পয়েন্টে প্রবেশ করুন। এখানে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, আপনি ভারতীয় ইমিগ্রেশন অংশে প্রবেশ করতে পারবেন।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করার নিয়ম
ভারতীয় অংশের ইমিগ্রেশনে একটি ফরম পূরণ করতে হয়, যা সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে আপনার পাসপোর্ট ও পূরণ করা ফরম জমা দিলে ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার পাসপোর্টে Arrival সীল দেবে। পাশাপাশি, ব্যাগ স্ক্যানিং এবং চেকিং করা হবে। এইটুকু প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, আপনি ইন্ডিয়া প্রবেশ করতে পারবেন।
পেট্রাপোল থেকে মানি এক্সচেঞ্জ
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে পেট্রাপোল অংশে প্রবেশ করবেন, যেখানে আপনি ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশি টাকা ভাঙিয়ে নিতে পারবেন। তবে সতর্ক থাকুন—দাঁড়িয়ে থাকা কোনো ব্যাক্তি বা কেউ পাসপোর্ট চাইলে সেটি কখনোই তাদের হাতে দেবেন না, কারণ কিছু অসাধু ব্যক্তি নানা রকম প্রতারণার চেষ্টা করতে পারে।
ইন্ডিয়ান অংশে সিম কার্ড কেনার নিয়ম
পেট্রাপোল থেকেই আপনি ভারতীয় সিম কার্ড কিনতে পারেন। প্রতি মাসে ৩০ জিবি ডেটা প্ল্যানসহ সিমকার্ডের দাম পড়বে ২৫০-৩০০ রুপির মধ্যে। প্রতিদিন ১ জিবি করে পাবেন। যেই দোকান থেকে মানি এক্সচেঞ্জ করবেন, তারাই সিম কিনে দিবে। অথবা কলকাতা থেকেও কিনতে পারবেন এয়ারটেল সিমের দোকান থেকে।
পেট্রাপোল থেকে কলকাতা যাওয়ার উপায়
পেট্রাপোল থেকে কলকাতা যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে বনগা জংশনে যেতে হবে। বেনাপোল বর্ডার পেরিয়ে অনেক অটো পাবেন যেগুলো বনগাঁ জংশনে যায়। অটো নিতে পারেন, যার ভাড়া পড়বে ৫০ রুপি। বনগা জংশন থেকে কলকাতার শিয়ালদাহ রেলস্টেশন পর্যন্ত লোকাল রয়েছে, প্রতি ঘন্টা পর পর ট্রেন যায়। শিয়ালদাহ পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ রুপি।
শিয়ালদাহ পৌঁছানোর পর আপনার গন্তব্য যদি পার্ক স্ট্রীট হয়, তবে দমদম জংশনে নেমে মেট্রোতে যেতে পারেন মাত্র ১০ রুপির টিকিটে। শিয়ালদাহ হলে সরাসরি ট্রেন পৌঁছাবে শিয়ালদাহ স্টেশনে।
উপসংহার
বেনাপোল বর্ডারে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং সঠিক নিয়ম মেনে আপনি সহজেই তা সম্পূর্ণ করতে পারেন। দালালদের প্রস্তাব এড়িয়ে নিজেই ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। বেনাপোল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো ব্যবহারে খরচও অনেক কমে যায়।
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।