বাংলাদেশ থেকে অনেকেরই নানা কাজে ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার প্রয়োজন হয়। সেটা চিকিৎসা কিংবা ভ্রমণ যেই উদ্দেশ্যেই হোক। এবং অনেকেরই স্বপ্ন থাকে ঢাকা থেকে কলকাতা যাবার। কিংবা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই।
ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার উপায় |
আর তাই আমি এই নিবন্ধে তুলে ধরবো কীভাবে আপনারা একদম কম খরচে ঢাকা থেকে কলকাতা যাবেন। সেই সাথে ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সহ যাওয়ার যাবতীয় খরচ, ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেন ভাড়া কত, ঢাকা টু কলকাতা বাস ভাড়া, স্থল বন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করার নিয়ম সহ যাবতীয় বিষয় থাকছে এই নিবন্ধে।
এই নিবন্ধের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে কলকাতা ভ্রমণে গেলে আপনার সর্বনিম্ন খরচ দাঁড়াবে বাংলাদেশী টাকায় ৭০০ টাকায়। এবং সর্বচ্চ ৩৫০০ টাকা।
ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেন
ঢাকা থেকে কলকাতা কম খরচে যাওয়ার সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো ট্রেন। অবশ্যই এটা মৈত্রী এক্সপ্রেস নয়। সবথেকে কম খরচে কলকাতা যেতে চাইলে বেঁচে নিতে হবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনকে। এর ফলে আপনি ৭২০ টাকায় পৌঁছাতে পারবেন কলকাতার শেয়ালদহ বা মারকুইস স্ট্রীট।
ঢাকা থেকে বেনাপোল যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে রওয়ানা দিন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বেনাপোল স্থল বন্দরের উদ্দেশ্যে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন রুটে নিয়মিত চলাচল করে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে বেনাপোল শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬০০ টাকা, স্নিগ্ধা চেয়ারের ভাড়া ১১৫০ টাকা এবং এসি বার্থ এর ভাড়া ২০৬৫ টাকা। বেনাপোল এক্সপ্রেস রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। এবং বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় ভোড় ভোর ৭টা ২০ মিনিটে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যায় বিধায় সময় লাগে অনেক কম।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে অটোতে করে চলে যান বেনাপোল স্থল বন্দরে। ভাড়া পড়বে ২০টাকা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয় সকাল ৬টা থেকেই।
বেনাপোল বর্ডারে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করবেন যেভাবে
বেনাপোল স্থলবন্দরে এসে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন লাইনে, ডকুমেন্টস হিসেবে নিন আপনার পাসপোর্ট, ট্রাভেল ট্যাক্সের কপি, পোর্ট ট্যাক্সের কপি এবং পেশা প্রমানের ডকুমেন্ট যেমন স্টুডেন্ট আইডির কপি বা এনওসি অথবা আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে জব করেন সেই প্রতিষ্ঠানের আইডির কপি। নতুন হলে এখানে অনুসরণ করতে পারেন আপনার সামনের জনকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে অনেক স্থানীয় যাদের দালাল বলা হয় তারা দ্রুত কাজ করে দিতে চাইবে, বিনিময়ে ১০০/২০০ টাকা নিবেন। অবশ্যই এই কাজটি ভুলেও করবেন না। টাকা বাঁচাতে সম্পূর্ণ ইমিগ্রেশন নিজেই সম্পূর্ণ করুণ। এতে আপনার জানা হবে। বেনাপোল বর্ডারে দালালের কোনো প্রয়োজন হয় না। খুবই সহজ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা।
বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করে প্রবেশ করুণ জিরো ল্যান্ডে।
এরপর
ইন্ডিয়ান অংশের ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করুন। এখানে একটি ফরম পূরণ করতে হয়,
পূরণ করুন। এছাড়া কোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় না। তবে ব্যাগ
স্ক্যানিং, এবং ভ্রমণকারীকে চেকিং করা হয়। এরপর ইন্ডিয়ান অংশের Arrival সীল
পাসপোর্টে নিলেই কাজ শেষ।
ইন্ডিয়ান অংশের ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করবার
পর ইন্ডিয়ান অংশের ইমিগ্রেশন অফিস থেকে বের হলেই পেট্রাপোল। অর্থাৎ আপনি এখন ইন্ডিয়ায়। এখানে একটু হাটতে
থাকলে চারদিকে অনেক দোকান দেখতে পারবেন। এগুলো সব মানি এক্সচেঞ্জের দোকান। বাংলাদেশি
টাকা থাকলে তা ভাংগিয়ে নিন এখানকার মানি এক্সচেঞ্জের দোকান থেকে। তবে
অবশ্যই মাথায় রাখবেন, কেউ পাসপোর্ট চাইলে দিবেন না। এখানে তারা তাদের দোকান
থেকে মানি এক্সচেঞ্জ করবার জন্য পাসপোর্ট নিয়ে নানান কাহিনী করার চেষ্টা
করবে। প্রথমবার আমি নিজেই এমন সমস্যার শিকার হয়েছিলাম।
বৈধভাবে সড়কপথে ইন্ডিয়া যাবার ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বচ্চ নেয়া যায়। তবে এর বেশি হলে লুকিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। যেটা অধিকাংশ মানুষই করে, কমবেশি সবাই। যেমন আমি মানিব্যাগে দশ হাজার টাকা রেখে বাকিটা ব্যাগে থাকা আমার প্যান্টের পকেটে রেখেছিলাম।
আপনি চাইলে এখান থেকে সিমও ক্রয় করতে পারেন। প্রতিদিন ১ জিবি প্যাক ১ মাসে ৩০ জিবি অফারে ২৫০-৩০০ রুপীর মতো পড়বে।
এরপরেই পেট্রাপোল অংশ থেকে বনগা
রেলওয়ে স্টেশন গামী অটোতে উঠে রওয়ানা দিন বনগা জংশনের উদ্দেশ্যে।
এখানকার অধিকাংশ অটোই বনগা জংশনে যায়। অটো ভাড়া পড়বে ৫০ রুপি।
বনগা রেলওয়ে স্টেশনের সামনে নামিয়ে দিবে অটো। অটো থেকে নেমে স্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করুণ। বনগা রেলওয়ে স্টেশনটি মোটামুটি ব্যাস্ততম একটি রেলওয়ে স্টেশন। এখান থেকে শিয়ালদাহ অব্ধি ট্রেন ভাড়া ২০ রুপী।
ট্রেনের
টিকিট কাটার ক্ষেত্রে, রেলস্টেশনে প্রবেশ করবার পর দেখবেন লেখা রয়েছে
"অসংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার" এখান থেকে টিকিট কেটে নিন শিয়ালদাহ অথবা আপনার
গন্তব্য স্থানের।
আপনি যদি পার্কস্ট্রীটে যেতে চান, তবে দমদম জংশনে নেমে সেখান থেকে মেট্রোতে করে দশ রুপিতে যেতে পারেন পার্কস্ট্রীট। দমদম জংশনের ওপাড়েই মেট্রো স্টেশন। মেট্রোর টিকিট কয়েন ধরনের। ভুলেও হারাবেন না। আর শিয়ালদাহ হলে ট্রেন সরাসরি শিয়ালদাহ যাবে।
ইন্ডিয়ান
লোকাল ট্রেন, ইলেকট্রিক ট্রেন, দূর্দান্ত গতি। ট্রেনের চোখে চারদিকের
পথ-ঘাট-মাথ ভারি অপরূপ।
ঢাকা টু কলকাতা ট্রেন - মৈত্রী এক্সপ্রেস
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সরাসরি কলকাতা স্টেশন রুটে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। সপ্তাহে ৪ দিন বুধবার, শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার এই দিনগুলোতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস।
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে ৮টা ১৫ মিনিটে এবং কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টার সময়।
অপরদিকে কলকাতা চিতপুর স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার এবং শনিবার সপ্তাহে এই ৪ দিন।
কলকাতা চিতপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায় বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রার ক্ষেত্রে টিকিট অনলাইনে কাটার ব্যবস্থা নেই, সরাসরি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন অথবা চট্রগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে আন্তঃদেশীয় কাউন্টার থেকে কাটতে হবে ট্রেনের টিকিট। অবশ্যই সাথে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। কলকাতা থেকে কাটার ক্ষেত্রে ফেয়ারলি প্লেস অথবা কলকাতা চিতপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যাতিত অন্য কোথাও টিকিট দেওয়া হয়না। সকাল ১০ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয় এইসকল লোকেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসের।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া
ঢাকা টু কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া এসি কেবিন ৩৯০০ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৩০০০ টাকা।
অপরদিকে কলকাতা থেকে ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া এসি কেবিন ২০১৫ রুপী এবং এসি চেয়ার ১৩৪৫ টাকা।
১-৫ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাড়ার ৫০% নেওয়া হয়।
অবশ্যই মাথায় রাখবেন, টিকিটে ট্রাভেল ট্যাক্স যুক্ত থাকে। কাজেই আলাদা করে ট্রাভেল ট্যাক্স ভুলেও দিবেন না।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন ফর্ম নিয়ে পূরণ করুন। গন্তব্য স্থানের ইন্ডিয়ান অংশের ঠিকানা আপনার হোটেল বা যেকোনো জায়গার নাম ও ব্যাক্তির নাম দিলেই হবে। এ সকল যাচাই করা হয় না।
কলকাতা চিতপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ট্রেন থেমে যায় ইন্ডিয়ান অংশের ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করানোর জন্য। দ্রুত নেমে ইন্ডিয়ান অংশের ফরম পূরণ করে Arrival সীল নিয়ে নিন।
বাসে ঢাকা থেকে কলকাতা
ঢাকা থেকে যেসকল বাস কলকাতা যায় সেই বাসগুলো হলো;
- শ্যামলী পরিবহণ
- শ্যামলী এন আর ট্রাভেল
- গ্রীন লাইন পরিবহণ
- সৌদিয়া পরিবহণ
- দেশ ট্রাভেলস
- রয়েল কোঁচ
- সোহাগ পরিবহণ
- সেন্ট মার্টিন হ্যারিটেজ ট্রাভেলস
উপরের উল্লিখিত বাস সমূহ ঢাকা থেকে কলকাতা যায়। এইসকল বাসে এসি এবং নন এসি উভয় ধরনের সীটই রয়েছে। এইসকল বাসে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে পারেন।
বাসে ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার ক্ষেত্রে বাস বেনাপোলে নামিয়ে দিবে। বেনাপোলে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে হবে উপরের নিয়ম অনুসারে।
তবে সবথেকে উত্তম হয় ঢাকা থেকে বেনাপোল গিয়ে ইন্ডিয়ায় প্রবেশ করে অটোতে বনগাঁ জংশন গিয়ে ট্রেনে কলকাতা। এতে সময়ও টাকা উভয়ই বেঁচে যাবে অনেক। অল্প টাকায় পৌঁছাতে পারবেন ঢাকা থেকে কলকাতা।
ঢাকা টু কলকাতা বাস ভাড়া
শ্যামলী পরিবহন ঢাকা টু কলকাতা ভাড়া ১৯০০ টাকা এসি চেয়ারের ক্ষেত্রে, শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস ২০০০ টাকা, গ্রীন লাইন পরিবহণ ২০০ টাকা, দেশ ট্রাভেলস ১৬০০ টাকা, সৌদিয়া পরিবহণ ১৬৫০ টাকা, সোহাগ পরিবহণ ১৮০০ টাকা, রয়েল কোঁচ সার্ভিস ১৭৫০ টাকা এবং সেন্ট মার্টিন হ্যারিটেজ ট্রাভেলস ১৬৫০ টাকা।
নন-এসি চেয়ারের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে কলকাতা ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে টিকিট পেয়ে যাবেন।
ঢাকা টু কলকাতা বিমান ভাড়া
যারা বিলাসবহুলভাবে যেতে চান, অনেক টাকা পয়সার মালিক। তারা বিমানে যেতে পারেন। ঢাকা টু কলকাতা একমুখী বিমান ভাড়া ৭৯৩৬ থেকে ৮৫০০ টাকা।
মাত্র ৭০০ টাকায় ঢাকা থেকে কলকাতা ভ্রমণ ভিডিও
কীভাবে আমি ঢাকা থেকে কলকাতা গেলাম মাত্র ৭২০ টাকায় সে সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে সংক্ষেপে এই ভিডিওতে। দেখতে পারেন। যদিও ভিডিওটি শুরু হয়েছে রংপুর থেকে। রংপুর থেকে মাত্র ৬০০ টাকায় যাওয়া যায় কলকাতা। সেই হিসাবও দেয়া রয়েছে।
জিজ্ঞাসা
ঢাকা টু কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কত?
ঢাকা টু কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া এসি কেবিন ৩৯০০ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৩০০০ টাকা।
কলকাতা টু ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কত?
কলকাতা থেকে ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া এসি কেবিন ২০১৫ রুপী এবং এসি চেয়ার ১৩৪৫ টাকা।
ঢাকা টু বেনাপোল ট্রেনের ভাড়া কত?
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে বেনাপোল শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬০০ টাকা, স্নিগ্ধা চেয়ারের ভাড়া ১১৫০ টাকা এবং এসি বার্থ এর ভাড়া ২০৬৫ টাকা।
বেনাপোল এক্সপ্রেস কখন ছাড়ে?
বেনাপোল এক্সপ্রেস রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। এবং বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় ভোড় ভোর ৭টা ২০ মিনিটে।
ঢাকা টু কলতাতা বাস ভাড়া কত?
ঢাকা টু কলকাতা বাসে এসি চেয়ারের ভাড়া ১৪০০-২২০০ টাকা এবং নন এসি চেয়ারে ১০০০-১২০০ টাকা।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে কখন ছাড়ে?
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে ৮টা ১৫ মিনিটে এবং কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টার সময়।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন কলকাতা থেকে কখন ছাড়ে?
অপরদিকে কলকাতা চিতপুর স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার এবং শনিবার সপ্তাহে এই ৪ দিন।
টাকাকে রুপীতে কনভার্ট করবো কোথায়?
বেনাপোল বর্ডার পার হলে অসংখ্য মানি এক্সচেঞ্জের দোকান রয়েছে। টাকার রেট জিজ্ঞেস করে ভেঙ্গে নিন। ট্রেনে যাওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা চিতপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙ্গাতে পারবেন।
সর্বচ্চ কত ক্যাশ টাকা নিয়ে যাওয়া যায়?
ক্যাশ টাকা ১০ হাজার সর্বচ্চ নিয়ে যাওয়া যায়, তবে অনেকে লুকিয়ে নিয়ে যায় এর অধিক। এবং কার্ডের ক্ষেত্রে আনলিমিটেড।
শেষ কথা
আশাকরি এই নিবন্ধের মাধ্যমে কম খরচে ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার উপায় সহ যাবতীয় বিষয়াবলী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই একটা নিবন্ধে ঢাকা টু কলকাতা ভ্রমণের সমস্থ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ সম্পর্কে আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না, দ্রুত আপনার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ্।
আপনার যাত্রা শুভ হোক!
আরও পড়ুন
অনলাইনে বেনাপোল পোর্ট ফী দেওয়ার নিয়ম
ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ || যেভাবে আমি পেয়েছি ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।