আমার টিউশনী জীবনের গল্প এবং নব্য টিউটরদের প্রতি পরামর্শ

Nir
0

আমি তখন সবে নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমার জীবনে টিউশনির প্রথম যাত্রাটি শুরু হয় নবম শ্রেণী থেকেই। বাসার পাশেই হঠাৎ একদিন এক প্রতিবেশী এসে বললে, তার ছেলেটিকে পড়াতে পারবো কিনা। ছেলেটার নাম নীলয়। পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে। বললাম, পারবো। ভালো ছাত্র হওয়ার দরুন তার ছেলেকে পড়ার দায়িত্বটা আমাকেই দিলেন। শুরু করলাম। অবশ্যি তখন কোনো প্রকার মাসে কত নিবো সেটা ঠিক করা হয়নি। প্রথম টিউশনি কি না তাই ভাবলাম মাসে কত দিবে সেটা ঠিক না করাটাই হয়তো ভালো। পাছে যদি এমন একটা সংখ্যা বলে বসলাম, যেটা কি না আমার ক্ষেত্রে বলাটা ঠিক হলো না। তাই মাসে যা দেয় দিক। একটুখানি নিজের অভিজ্ঞতা হওয়াটাও তো হবে। 

 


শুরু করলাম ছেলেটাকে পড়ানো। তখন রমজান মাস। প্রতিদিন পড়াতাম একঘন্টা করে, শুধুমাত্র শুক্রবারের দিনটা বাদে। ছেলেটা ছাত্র হিসেবে মন্দ নয়, বরং বেশ ভালো। খুব সহজেই কোনো অঙ্ক বোঝানো হলে বুঝে যায়। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই দিতে পারে। মাস শেষ হবার অপেক্ষা করতে লাগলাম। যখন মাস শেষ হলো, তখন আমার হাতে দিলো দুশত টাকা। প্রথম টিউশনি হিসেবে এটাকে কম বলা যায় না আমার পক্ষে, যেহেতু আমি নিজেই একজন সেসময় নবম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী। কাজেই এটা আমার কাছে কোনো অংশে কম না। এভাবে ছেলেটাকে পড়ানো চালিয়ে গেলাম। সেবার সে বেশ ভালো নম্বর পেয়েই পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলো। 


এদিকে সেই সময় আমার হাতে এলো আরও একটা টিউশনি। সপ্তম শ্রেণির বাচ্চাকে পড়াতে হবে। অবশ্যি বাসার পাশেই। ওর নাম জিম। ছাত্র হিসেবে ছেলেটা একেবারেই ভালো ছিলোনা। যাকে বলে গবেট টাইপ ছাত্র। গুণ ভাগ পর্যন্ত পারে না আবার পড়ে কি না সপ্তম শ্রেণিতে! প্রতিদিন পড়াতে শুরু করলাম একসাথে দুইটা টিউশনি। তখন আমার বেতন বেড়ে হয়ে গেলো পাঁচশত টাকা।


এদিকে আমি সেবার এসএসসি পরীক্ষা দিবো। পরীক্ষা সন্নিকটে। ফলে টিউশনি দুটো আমাকে বাদ দিতে হয়। পড়ালেখায় মননিবেশ করলাম। যাকে বলে একেবারে সিরিয়াস রিডিং। সেখানেই আমার এই দুটো টিউশনির ইতি টানা। 


পরীক্ষা শেষ হবার পর একটা ছোট খাটো ট্যুর দিলাম চট্রগ্রামে, ফিরে এলাম বাসায়। শুরু করলাম আবার নীলয়কে পড়ানো। এর মধ্যেই স্বপ্নচূড়া একাডেমী থেকে প্রস্তাব এলো সেখানে পড়াতে পারবো কি না। সেখানকার পরিচালক আমার সাথে মিট করলেন। এবং দিন কয়েকের মধ্যে স্বপ্নচূড়া একাডেমীতে যুক্ত হলাম শিক্ষক হিসেবে। সেখানে বলা যায় প্রতিটা ক্লাসেই ক্লাস নিয়েছি। বিশেষকরে ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানসহ বেশ কিছু বিষয়।

 

স্বপ্নচূড়া একাডেমিতে পড়বার বছর খানেকের মধ্যে আমার টিউশনির সংখ্যা চারদিকে বাড়তে লাগলো। একরকম চারদিকে পরিচিতি বাড়লো শিক্ষক হিসেবে। সেই সময় চৌমুহনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই কলেজ লাইফেই পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেয়ার সুযোগও হয়েছিলো। 

 

তবে নিজের পড়ালেখা, তাছাড়া সিলেবাস বহির্ভূত বই পড়ার অভ্যাস শৈশব থেকেই, ফলে বাড়তি চাপ নেয়াটা সম্ভব হয়নি। পাছে যদি নিজেরই রেজাল্ট খারাপ হয়!


তবে আমাদের এলাকাটা উপশহরের মধ্যে পড়লেও এখানে সবাই স্থানীয়। আমাদের এলাকাটা ছিলো একসময় গ্রাম অঞ্চল। পরবর্তীতে রংপুর শহর সিটি কর্পোরেশন হওয়ার দরুন আমাদের গ্রামখানি শহরের প্রাণকেন্দ্রে পড়েছে বললে ভুল হবে না। তবে এদিকে তখনো আমার ডিমান্ড খুব একটা বাড়েনি। প্রতিদিন শুক্রবার ব্যাতিত পড়ানোটা ধিরে ধিরে একরকম কষ্টকর ব্যাপার বলে মনে হতে লাগলো।


তারপর হঠাৎ আমারই সেই সময়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আপন, সে বললে তার নাকি কে আছে দুই ভাই একটা পড়ে প্রথম শ্রেণী এবং একটা ষষ্ঠতে। তাদের পড়াতে পারবো কিনা। এরজন্য তাঁরা প্রতিমাসে দিবে পঁচিশ শত টাকা করে। সেখানে শুরু করলাম। আমার পড়ার ধরণটা ওদের বেশ ভালো লেগে গেলো। তবে সেই টিউশনিটা অবশ্যি আমি দুই মাসের বেশি পড়াতে সক্ষম হইনি। প্রধান কারণ হলো প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে টানা পড়ানো যা একরকম অনেক বেশি কষ্টসাধ্য ব্যাপারই বলা চলে। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির বাচ্চাটাকে পড়ানোর সময় তো নিজেরই ঘুম আসতো। টাকা অবশ্যি প্রতি মাসেই দিতো বটে কিন্তু কোনো কোনো মাসে কমও দিতো। সাধারণত দেখা যায় শহরের টিউশনি গুলোতে নাস্তার আইটেম থাকে বেশ। কিন্তু সত্যিকথা বলতে সেখানে নাস্তা তো দূরের কথা পানিটি পর্যন্ত দিতো না। অনেকেই ভদ্রতার খাতিরে বলে, কিছু খান। কিন্তু তাঁরা সেটাও বলতো। অথচ ওরা সবাই সরকারি চাকরিজীবী। সেই প্রথমদিন যখন নিয়ে গেলো আমাকে আপন টিউশনি ঠিক করার জন্য, অন্তত নতুন মানুষ হিসেবে তো কিছু নাস্তা দিতে হয়। কিন্তু হয়তো সেটিও মনে নেই! যেটি আমার কাছে বেশ আজব লেগেছে। অবশ্যি আজব লাগারই কথা। প্রথম কিনা, আপ্যায়নের ব্যবস্থা তো একটুখানি থাকা উচিৎ।


খুব সম্ভবত ওরা মানুষই অমন। যাইহোক এটাই কারণ না ওই টিউশনিটা বাদ দেয়ার। ওখানে নিজের স্বাধীনভাবে পড়ানো যেতো না। তাঁরা যেটা দেখায় দিবে সেটাই পড়াতে হবে। যা একজন টিউটরের কাছে বিরক্তির ব্যাপার। নইলে আবার পাঠক ভাববেন আমি বুঝি খাওরে টাইপের টিচার মানে খালি খাই খাই করি! 


পরবর্তীতে ওই টিউশনিটা বাদ দিয়ে দেই। অবশ্যি তখন তাঁরা নানাভাবে চেষ্ঠা করতো যেনো পড়াই। বাদ দেয়ার পর শুধুমাত্র স্বপ্নচূড়া আর বাসায় দুইটা টিউশনিতেই পড়াতে লাগলাম। 

 

এর মধ্যে আমার একটা প্রিয় ভাই শহিদুল ভাই আমাকে একটা টিউশনি ম্যানেজ করে দিলো। ভাইটা আমাকে বেশ স্নেহ করতো। ষষ্ঠ শ্রেণির বাচ্চা। সপ্তাহে তিনদিন পড়াবো, মাসে দিবে এক হাজার টাকা। ছেলেটা অবশ্যি গণিতে এবং ইংরেজিতে বেশ দূর্বল ছিলো। বলা যায় গুণ ভাগ পর্যন্ত পারতো না। এই কারনেই ছেলেটার বাবা প্রায়শই বলতো তার ছেলেকে নাকি আগের শিক্ষকরাই এমন বানিয়েছে। শিক্ষকদের তিন বেশ দোষ দিতে পারতেন। আমি অবশ্যি এখানে আগের শিক্ষকদের দোষ দেখছি না। কারণ আগে যারা পড়াতো তাঁরা ছিলো একেবারে প্রোফেশনাল মানের শিক্ষক। 


এটা ছিলো আমার জীবনে প্রথম বলা যায় বেশ আরামের একটা টিউশনি। সপ্তাহে তিনদিন, নাস্তা থাকতো সবসময়। ছেলেটার নাম মারুফ। 


মারুফকে পড়ানোর সময় আমি প্রথমেই ওর গণিত এবং ইংরেজির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্ঠা করলাম। দেখা গেলো তার গণিতের একদম বেসিকেই সমস্যা। সে গুণ ভাগ তো পারেই না এমন কি মাঝে মাঝে যোগ বিয়োগও ভুল করে। অথচ পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আগের শিক্ষকরা তার থেকে অঙ্ক করায় নিতো কি না, সে বললো, নিতো না, তবে করায় দিতো। ওভাবেই চলত তার আগের প্রাইভেট।


কি আর করার, যেহেতু যোগ বিয়োগ গুণ ভাগেই সমস্যা, কাজেই ওগুলো প্রথমেই শিখাতে শুরু করলাম। কারণ যে এগুলো পারে না সে অন্য অঙ্ক কিভাবে পারবে! আর অনেক শিক্ষার্থীর অঙ্কভীতি তার অঙ্কের ব্যাসিকে ত্রুটি থাকায়। তবে দেখা গেলো কয়েকদিনের মধ্যেই সে এগুলো শিখে গেলো। এরপর শুরু করলাম বইয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে। এবং দেখা গেলো খুব দ্রুতই অন্যান্য অঙ্কগুলো করতে সক্ষম হলো ছেলেটা। অঙ্কের মজাটা ধরে দেয়ার চেষ্ঠা করলাম তাকে। অঙ্ক যে কত মজা করে করা যায় সেটা বুঝতে শিখল মারুফ।


ইংরেজির ক্ষেত্রে তার সমস্যা হতো সে রিডিংটাই পারতো না। যে রিডিং পারেনা ইংরেজির, তার কাছে তো ইংরেজি কঠিন হবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই রিডিং শেখানো শুরু করলাম। এবং দ্রুতই সে শিখে গেলো। 


এরপর মাস তিনেকের মধ্যে আমার প্রিয় একজন ভাই, ফিরোজ ভাই, তাকে অবশ্যি টিউশনির কথা আগেই বলেছিলুম পেলে যেনো আমাকে দেয়। তার সাথে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনি আমার থেকে নানারকম বই নিয়ে পড়তেন। রংপুরে তার পড়ালেখা শেষ হওয়ার দরুন তার ঢাকা যাওয়ার প্রয়োজন হলো। ফলে সে তার সব টিউশনিগুলো আমাকে দিয়ে চলে গেলো ঢাকায়। মোটের উপর তিনটা টিউশনি। অবশ্যি সেগুলো ছিলো প্রাইমারীর বাচ্চা। এবং সবগুলাই শহরের উচ্চবংশ পরিবারের। 


ফিরোজ ভাই মোটের উপর তিনটি টিউশনি দিয়ে গেলো। যেগুলোতে সপ্তাহে তিনদিন পড়াতে হবে। এখানে আবিষ্কার করলাম, শিক্ষার্থী যদি ভালো হয়, তবে টিউশনি করে বেশ আরাম আছে। কিন্তু শিক্ষার্থী যদি হয় একেবারে গবেট, তবে কোনো পড়া বোঝানোর ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু আমার এই শিক্ষার্থীগুলোকে শুধু পড়া বুঝে দেয়া এবং আদায় করে নেয়া এটুকুতেই হতো। এরা সবাই পড়তো রংপুরের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এদের পরিবারও অনেক বেশি সচেতন তাদের বাচ্চাদের প্রতি। নানারকম নাস্তা তো থাকতোই। অনেক সময় দাওয়াত দিয়ে পর্যন্ত খাওয়াতো। মাসে সর্বনিম্ন পনেরোশ দিতো। আমার একটা তৃতীয় শ্রেণির বাচ্চা শুরু করেছিলাম পনেরোশ দিয়ে মাস দুয়েকের মধ্যে তিনি নিজের ইচ্ছায় দুই হাজার করে দিতেন। তাদের সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হওয়ার দরুন ওদের এখনও পর্যন্ত পড়াই। তাঁরা ঈদে প্যান্ট-শার্ট বা গেঞ্জি উপহার দিতেন। ঈদ বোনাস তো থাকতোই।


তারপর শুরু করলাম একটা দশম শ্রেণির ব্যাচ। সেটা অবশ্যি বাসায় পড়াতাম ব্যাচ করে। এর মধ্যে অ্যাডভ্যান্স একাডেমিতে আইনুল স্যার বললে, তার ক্লাসে দশম শ্রেণির ইংরেজি নিতে হবে এক ঘন্টা করে। যেহেতু তিনি ছিলেন আমার শিক্ষক, পঞ্চম শ্রেণিতে থাকতে তার কাছে পড়েছিলাম মাস দুই। ফলে সেখানে সপ্তাহে দুদিন শনিবার এবং বুধবার করে ক্লাস নিতে লাগলাম। 

 

এইতো এভাবে এক এক করে টিউশনির সংখ্যা বেড়ে গেলো অধিক। তবে আঁটটার অধিক টিউশনি বাড়াইনি, কারণ নিজের পড়ালেখার প্রতি সময় সংকোট হতো এর ফলে। কিন্তু প্রতিনিয়ত আসতো নানারকম টিউশনির অফার। 

 

যারা নব্য টিউশনি করান, তাদের ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ। শুরুটা করুণ প্রাইমারীর বাচ্চা দিয়ে। প্রাইমারীর বাচ্চাদের পড়াতে আপনার কোনো প্রকার পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়না। কারণ যা যা আছে ওদের বইয়ে সব আপনার জানা। সেখানে যদি আপনি সফল হতে পারেন, দেখবেন একটা শিক্ষার্থী থেকে আপনার একাধিক শিক্ষার্থী হয়ে যাবে। 



আপনার পরিচিত যারা সফল টিউটর, তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাদের বলে রাখুন তাঁরা কোনো টিউশনি পেলে যেনো আপনাকে দেয়। এভাবে আপনি শহরে প্রবেশ করার চেষ্ঠা করুণ। যখন আপনি শহরে প্রবেশ করতে পারবেন, তখন আপনি ধরে নিবেন আপনি একজন মোটামুটিভাবে সফল টিউটর। দেখবেন ধিরে ধিরে সেখানেই আপনার একাধিক টিউশনি পেয়ে যাবেন। মোটে চারটা টিউশনি শহরে ম্যানেজ করতে পারলে সপ্তাহে তিনদিন মাসে দেখবেন এতে ৬-১০ হাজার টাকা আসব।ব্যাক্তিগতভাবে আমি যেখানে টিউশনি করাতাম, তার আশপাশ চারদিক ছড়িয়ে যেতো, অফার আসতো টিউশনির।


এখন আপনাদের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে, আমি নিজের পড়া পড়ি কখন? এর উত্তরটা আপনাদের হতে পারে অনুমানের বাইরে। আমি নিজের পড়া পড়ি রাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা অব্ধি। এবং ঘুমাই রাত নয়টার মধ্যে। রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা এই সময়টা মোটের উপর ৬ ঘন্টা। পড়ার এটা হলো উত্তম সময়। এই ছয় ঘন্টায় যা পড়া যায় সব একবার পড়লেই হয়। আপনি যদি এই অভ্যাসটা গড়তে পারেন, তবে এই সময়েই আপনি অনেক পড়া সম্পূর্ণ করতে পারবেন। অভ্যাসটা গড়ানো কঠিন কিছু না। আপনার অবচেতন বা সাবকনসাসমাইন্ডকে বোঝান, যেকোনো উপায়েই আপনাকে এই টাইমেই পড়তে হবে। যখন আপনি কয়েকদিন টানা ঠিক টাইমে উঠবেন, পড়বেন, তখন আপনার অবচেতন মন আপনাকে সময় হলেই জাগিয়ে দিবে। অভ্যাস হয়ে যাবে। 

 

সাবকনসাসমাইন্ড বা অবচেতন মনের গোপন কিছু রহস্য জানতে পড়তে পারেন নীচের লেখাটি;

 

অবচেতন মন বা সাবকনসাসমাইন্ডের শক্তি যেভাবে কাজে লাগাতে পারেন 


আর একটা বিষয়, আমার মুখস্থ করতে হয়না। অনেকেই মুখস্থ করেন ফলে মাথায় ধরে রাখতে পারেন না। এটা একদমই ঠিক না। যা পড়বেন, চেষ্ঠা করুণ সেটা নিজের ভাষায় লেখার। 

মুখস্থ করার কুফল সম্পর্কে জানতে পড়ুন নীচের লেখাটি

 

মুখস্থ বিদ্যা, লাইফ ধ্বংসের ওস্তাদ

প্রশ্ন উত্তর করার ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক অনুসরণ করতে পারলে এটা হবে একদম উত্তম। শিক্ষক পরিপূর্ণ নম্বর দিতে বাধ্য। সে সম্পর্কে না হয় কোনো এক সময় লিখবো। স্মার্টলি পড়ালেখার কিছু উপায় নিয়ে। 

 

আমি ছাত্রজীবনে যেসকল কাজ করি সেসম্পর্কে জানতে পড়তে পারেন নীচের লেখাটি;

 

ছাত্র জীবনে উপার্জনের নানা উপায়

এখন কারও কারও মাথায় হয়তো এটা ঘুরতেছে, এতো টাকা উপার্জন করে আমি কি করি?  উত্তরটা খুবই সহজ। আমার পড়ালেখার খরচ সমস্থ নিজেই বহন করি। পরিবারেও দেই। এবং জমাই। নিজের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষার জন্য। 

Post a Comment

0Comments

এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!