আমরা অনেক সময় পরীক্ষার খাতায় উত্তর করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় অনেকেই সঠিকভাবে উত্তর করি না বা করতে পারি না। অনেক কষ্ট করে বইয়ের ভাষা মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে হয় নতুবা নিজের মতো করে হিজিবিজি সব কথাবার্তা লিখে উত্তর করতে হয়। উত্তর করি বটে ঠিক আছে, কিন্তু একটা শব্দ দেখা যায় কয়েকবার ব্যবহার করি বা এমনসব শব্দ চয়েজ করি যেগুলোতে আমাদের প্রশ্নের উত্তরটা হয়ে উঠে কাটখোট্টা টাইপের। শিক্ষকরা খাতা কাঁটার সময় সেই উত্তর পড়ে সাচ্ছন্দ বোধ করেন না ফলে নম্বর পাই একেবারে কম।
মুখস্থ বিদ্যা কত বেশি ভয়ংকর এটা অনেকেরই অজানা। তাছাড়া একটা প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করাটাও অনেক বেশি কষ্টের। আমরা সাধারণত মনে করি যারা বেশি পড়া মুখস্থ করতে পারে তাঁরাই বুঝি ভালো ছাত্র। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা শুধুই ভালো ছাত্র বটে কিন্তু খুব ভালো ছাত্র নয়। ভালো ছাত্র হতে হলে নিজের ভাষায় প্রশ্ন করার দক্ষতা থাকতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো নিজের ভাষায় উত্তর কিভাবে করবো? এর উত্তর হলো আপনি যা-ই পড়ুন না কেনো, বুঝে বুঝে পড়ুন। তখন বুঝে যাবেন, তখন সেই উত্তরটা খুবই সহজে করতে পারবেন। প্রশ্নের উত্তর যদি না বুঝে শুধুই মুখস্থ করেন, তাহলে নিজের ভাষায় সেই প্রশ্নের উত্তর করা একদমই সম্ভব নয়।
প্রশ্নের উত্তরে শব্দের ব্যবহার
কিছু কিছু শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর পড়লে নম্বর কাঁটার মতো কোনো উপায় থাকেনা। নিজের অজান্তেই পূর্ণ নম্বর দেয়া হয়। অনেক সময় তো এমনও নজির রয়েছে দেখা গেছে পূর্ণ নম্বরের থেকেও আরও বেশি নম্বর দেয়া হয়েছে। শিক্ষক মহাশয় খুশি হয়ে একশর বদলে একশত দশ দিয়ে ফেলেছে। বিষয়টা অবাক করার মতো না? একটু ভাবুন তো, আসলেই ওই ছেলেটা কি লিখলো খাতায় যে এতো নাম্বার পেলো? আসলে এটা কোনো অবাক করার মতো বিষয় না বরং খুবই সহজ একটা বিষয়। এবং আপনিও এটা করতে পারবেন। পরিপূর্ণ নম্বর পাওয়া সহজ বৈ কঠিন নয়।
কিন্তু কিভাবে আমি পরীক্ষায় পরিপূর্ণ নম্বর পাবো?
ঐসকল শিক্ষার্থীরা যারা ক্লাসে টপার, যাদের আমরা ক্লাসে টপার বলি, যারা পরিক্ষায় সর্বদা নব্বই এর উপরে নম্বর পায়। ওদের পরীক্ষায় উত্তর লেখার ধরণটা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি। ওরা কোনো প্রশ্নের উত্তর করার সময় কাটখোট্টা টাইপের ভাষা বা একটা শব্দ বারবার ব্যবহার করা বা এমন সব শব্দের প্রয়োগ করা যা সেই প্রশ্নের উত্তরটার মান একেবারে কমায় দেয়, সেইসব শব্দ তাঁরা ব্যবহার করে না। বরং তাঁরা প্রশ্নের উত্তর এমনভাবে করে, তাদের উত্তরের শব্দ চয়েজের ব্যাপারে তাঁরা সচেতন। সেরা শিক্ষার্থীরা সর্বদা এমন সব শব্দের প্রয়োগ করে বাক্যের মধ্যে যেটা চোখে পড়লেই একজন শিক্ষক বুঝে যায় সেই শিক্ষার্থী সম্পর্কে। সাথে সাথে সেই শিক্ষক মহাশয় নম্বর দিয়ে দেয় পরিপূর্ণ।
কাজেই কোনো প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে চেষ্ঠা করুণ শব্দের ব্যবহার সঠিকভাবে করতে। উত্তরের শুরুটা করুণ আকর্ষনীয়ভাবে। একটা শব্দ কয়েকবার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন বরং ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করুণ যেসকল শব্দের প্রয়োগ করলে আপনার প্রশ্নের উত্তরটা হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়। পড়ার পর মনে হবে এ যেনো হুবুহু বইয়ের ভাষা।
গুরুত্বপূর্ণ আর অপরিহার্য দুইটা শব্দ কিন্তু একই। সমার্থক শব্দ। কিন্তু একই হলেও এই শব্দের মধ্যে রয়েছে শক্তি ও মাধ্যুর্যতার দিক দিয়ে পার্থক্য। আবার অপরদিকে হ্রাস পাওয়া ও কমে যাওয়া। এখানে হ্রাস ও কমা দুইটা শব্দের অর্থ একই, আপনি যদি আপনার প্রশ্নের উত্তরে কমে যাওয়া না লিখে হ্রাস পাওয়া লিখেন তাহলে আপনার কাঙ্খিত লাইটা হবে দারুণ। তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন ভাষা জ্ঞানের। যখন আপনার ভাষা জ্ঞান হবে সমৃদ্ধ, ঠিক তখনই এভাবে আপনি প্রশ্নের উত্তর করতে পারবেন। তখন আপনার প্রশ্নের উত্তরটা দেখলে মনে হবে এ যেনো হুবুহু বইয়ের ভাষা। বই বা গাইডের উত্তরে শব্দগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেখানে শব্দচয়ন গুলো কী দারুণ। এই শব্দ চয়নের ফলেই উত্তরটা হয়ে উঠে আকর্ষনীয়। তবে আপনি সচরাচর ব্যবহৃত শব্দগুলোরই সমার্থক শব্দগুলো জেনে রাখুন। যেমন শুরু করতে এর পরিবর্তে প্রারম্ভে লিখতে পারেন।
যেকোনো পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যেমন ধরুন রচনামূলক বা বর্ণনামূলক অথবা কোনো সৃজনশীল প্রশ্ন। উত্তরের শুরুতে এমন কিছু শব্দের ব্যবহার করুণ, যেই শব্দটার ফলে আপনার উত্তরটি হয়ে উঠবে অনেক বেশি আকর্ষনীয়। শিক্ষকের মনে লেগে যাবে। আপনার উত্তরের ধরণ দেখেই শিক্ষক মহাশয় বুঝে যাবেন আপনি নিশ্চয়ই শিক্ষার্থী হিসেবে অনেক বেশি ভালো।
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।