পাসপোর্ট করার প্রারম্ভে অধিকাংশের মধ্যে প্রথম প্রশ্নটা যেটি জাগে সেটি হলো ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। এমন প্রশ্ন আসাটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকেরই পাসপোর্ট করার প্রয়োজন হয় বিদেশ ভ্রমণ কিংবা কোনো কাজের ক্ষেত্রে তখন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই তথ্য জানা না থাকার দরুন দৌড়াতে হয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সমূহ হয়ে থাকে জেলা শহর কিংবা বিভাগীয় শহরগুলিতে ফলে অনেকের বাসা দূরে হওয়ার দরুন যাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। অথবা অন্যের থেকে যারা এ বিষয়ে জানেন বা পূর্বে পাসপোর্ট করার অভিজ্ঞতা যাদের রয়েছে তাদের থেকে জেনে নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অন্যের থেকে জেনে নেয়ার ক্ষেত্রে সেই সকল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় সেখানে কিঞ্চিৎ ডকুমেন্ট কম রয়েছে বা এখন যেসকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেই সকল ডকুমেন্টের থেকে কিছু একটা এরিয়ে গেছে। পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এই বিড়ম্বনা টুকু এড়াতেই আমাদের এই নিবন্ধ, আজকে আমরা জানবো পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সাধারণত ই পাসপোর্ট করতে লাগে অনলাইন এপ্লিকেশন সামারি, এপ্লিকেশন ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ, পেমেন্ট রসিদ, ইত্যাদি ডকুমেন্ট সমূহ। এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোকপাত করবো।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪
ই পাসপোর্ট করতে সাধারণত মূল কাগজগুলোর মধ্যে লাগে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ এবং পেশা প্রমাণের সার্টিফিকেট। তবে যারা সরকারি চাকরিজীবী রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে GO অথবা NOC প্রয়োজন। এই কাগজগুলো প্রথমেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তবে ছাত্রদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জন্মসনদ বা নাগরিকত্ব সনদ এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বা সার্টিফিকেট হলেই হয়।
পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে যদি পূর্বে এমআরপি পাসপোর্ট থেকে থাকে সেক্ষেত্রে পূর্বের পাসপোর্টের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
উপরুক্ত কাগজসমূহ সংগ্রহ করার পর অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করে সেখান থেকে এপ্লিকেশন সামারি এবং এপ্লিকেশন ফরম (অবশ্যই বার কোড সহ) প্রিন্ট করতে হবে। তারপর এই সকল কাগজ একসাথে করতে হবে। পূর্বের পাসপোর্ট থাকলে অনলাইনে ফরম পূরনের সময় পূর্বের পাসপোর্ট নং দিতে হবে এবং পূর্বের পাসপোর্টের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
এরপর ব্যাংক ড্রাফট কিংবা অনলাইন মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে। ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া এখন একদমই সহজ। বিকাশ কিংবা নগদ অথবা রকেট থেকেও এখন ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া যায় মুহুর্তেই। ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার পর পেমেন্ট রসিদ প্রিন্ট করে নিতে হবে। এখন প্রয়োজন আরও কিছু কাগজ। পেশা ও বয়স অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজের প্রয়োজন হয়। এর জন্য জানা দরকার পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। আমরা এখন জানবো বয়স অনুযায়ী ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
বাচ্চাদের ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করতে সাধারণত যেসকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় তা হলো;
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ৬ বছরের কম হলে;
- ৬ বছরের নিচে আবেদনের ক্ষেত্রে বাবা এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দাখিল করতে হবে। (১ কপি)
- ৬ বছরের নিচে ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ১ কপি ৩ আর সাইজের (ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড) ছবি লাগবে।
- ৬ বছরের নিচে ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দাখিল করতে হবে।
- ৬ বছরের নিচে আবেদনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার ১ কপি করে ২টি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দাখিল করতে হবে।
- ৬ বছরের নিচে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম সনদ (ইংরেজি ভার্সন) দাখিল করতে হবে।
- পূর্বের পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে, না থাকলে প্রয়োজন নেই)
- 6 বছরের নিচে ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় অবশ্যই পেশা ডিপেন্ডেড উল্লেখ করতে হবে আবেদনের সময়, সেক্ষেত্রে পেশা প্রমাণের সনদ কিংবা ডকুমেন্ট লাগবেনা।
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি কপি (১ কপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রিন্ট কপি (১ কপি)
- ই পাসপোর্ট ফি জমা রসিদ অথবা ই চালান বা এ চালান স্লিপ।
আবেদনকারীর বয়স ৬ বছরের বেশি এবং ১৫ বছরের কম হলে যেসকল কাগজ লাগে
আবেদনকারীর বয়স ৬ বছরের বেশি এবং ১৫ বছরের কম হলে যেসকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা নিম্নে দেয়া হলো;
- আবেদনকারীর অনলাইন জন্মসনদের (ইংরেজি ভার্সন) ফটোকপি। (১ কপি)
- আবেদনকারীর বাবা এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (১ কপি করে)
- পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট (শিক্ষার্থী হলে সার্টিফিকেট অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি কপি (১ কপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রিন্ট কপি (১ কপি)
- ই পাসপোর্ট ফি জমা রসিদ অথবা ই চালান বা এ চালান স্লিপ।
আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বয়সের মধ্যে হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বয়সের মধ্যে হলে যেসকল কাগজের প্রয়োজন হয় সেই সকল ডকুমেন্টস হলো;
- অনলাইন জন্মসনদ (ইংরেজি ভার্সন) অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (যেকোনো ১টি এর ১ কপি)।
- জন্মসনদ ব্যবহার করলে বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে পাসপোর্ট আবেদন করার সময়।
- জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করলে বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরের প্রয়োজন হয়না।
- পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট (শিক্ষার্থী হলে সার্টিফিকেট অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি কপি (১ কপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রিন্ট কপি (১ কপি)
- ই পাসপোর্ট ফি জমা রসিদ অথবা ই চালান বা এ চালান স্লিপ।
আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে
আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে যেসকল কাগজের প্রয়োজন হয় সেই সকল ডকুমেন্টস হলো;
- আবেদনকারীর বয়স ২০ বছর বা তার বেশি হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে।
- পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট লাগবে। (শিক্ষার্থী হলে সার্টিফিকেট অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি কপি (১ কপি)
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের প্রিন্ট কপি (১ কপি)
- ই পাসপোর্ট ফি জমা রসিদ অথবা ই চালান বা এ চালান স্লিপ।
পেশা প্রমাণের ডকুমেন্টস প্রসঙ্গে
ছাত্রদের ক্ষেত্রে
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড
- সর্বশেষ ক্লাসের সার্টিফিকেট বা মার্কশিট।
আবেদনকারী শিক্ষার্থী হলে উপরুক্ত যেকোনো একটি ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে।
কৃষকদের ক্ষেত্রে
- জমির পর্চা এর ফটোকপি
বেকার হলে
- স্থানীয় চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরের নিকট হতে বেকারত্ব সনদ সংগ্রহ করে দাখিল করতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে
- GO অথবা NOC এর ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
- অবসরে গেলে PRL Order অথবা পেনশন বই ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
প্রাইভেট সার্ভিস হোল্ডারদের ক্ষেত্রে
- আপনার পেশা যদি হয় প্রাইভেট সার্ভিস কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে তবে সেই প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল প্যাডে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করে দাখিল করতে হবে।
ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রে
- আপনার পেশা যদি হয় ব্যবসা তবে আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
গৃহিণীদের ক্ষেত্রে;
- আপনার পেশা যদি গৃহিণী দেন তবে আপনার কোনো পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট দিতে হবে না, তবে আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হন সেক্ষেত্রে পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে, অন্যথায় প্রয়োজন নেই।
বৈবাহিক অবস্থা প্রসঙ্গে
- পাসপোর্ট আবেদনের সময় অবিবাহিত উল্লেখ করলে কোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন নেই।
- পাসপোর্ট আবেদনের সময় যদি বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত উল্লেখ করেন তবে ম্যাসেজ সার্টিফিকেট এর ফটোকপি লাগবে, এবং স্বামী ও স্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে হবে। এবং এর সাথে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
- ডিভোর্স, নতুন স্বামী বা স্ত্রী যোগ করতে চাইলে ডিভোর্স পেপার এবং নতুন কাবিননামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। তবে যদি জাতীয় পরিচয়পত্রেও পূর্বের স্ত্রী/স্বামর নাম উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রে আগে জাতীয় পরিচয় পত্রে নতুন স্ত্রীর নাম যুক্ত করে নিতে হবে নির্বাচন কমিশন থেকে। এটি খুব সহজেই করা যায় নির্বাচন কমিশনালের ওয়েবসাইট থেকে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় যা যা লাগবে
পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় বেশি কিছু কাগজ প্রয়োজন হয়না। তবে নিম্নে বর্ণিত ডকুমেন্টস সমূহ প্রস্তুত রাখবেন। তারা এসে দেখতে চাইবে। তাদের দেখাবেন।
- শিক্ষার্থী হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড।
- বিদ্যুৎ বিল অথবা যেকোনো বিলের কপি।
আমার ই পাসপোর্ট করতে যা যা লেগেছিলো
আমি যখন পাসপোর্টের আবেদন করেছিলাম তখন আমার বয়স ছিলো ১৯ বছর ৪ মাস। তখন আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ছিলো। আমি নিম্নের কাগজগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর সেই আবেদনের সামারি ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি।
- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর সেই পূরণকৃত আবেদন ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি। (বারকোড সহ)
- জাতীয় পরিচয়পত্রের এক কপি ফটোকপি।
- পেমেন্ট রসিদ প্রিন্ট কপি।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড (এটা আমি ভুলে নিয়ে যাইনি, তবুও হয়েছিলো এটা ছাড়াই। কিন্তু আপনারা নিতে ভুলবেন না। আইডি কার্ড অথবা মার্কশিট অথবা সার্টিফিকেট যেকোনো একটা সাথে নিবেন)
নোটঃ এই কয়টি ডকুমেন্ট আমি নিয়ে গিয়েছিলাম পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিসে। আমি একজন শিক্ষার্থী কিন্তু আমি আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড বা সার্টিফিকেট কিছু নিয়ে যাইনি, কারণ আমার জানা ছিলো না যে এটা লাগবে। তবে তবুও হয়েছিলো এটা ছাড়াই। কিন্তু আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড কিংবা সার্টিফিকেট অথবা মার্কশিট যেকোনো একটি নিতে ভুলবেন না।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
কারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে?
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক সে জন্মের পরে হলেও তার অনলাইন জন্মসনদ হলেই সে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে।
পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে কি কি লাগে?
পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে নতুন আবেদনে যেসকল ডকুমেন্টস লাগে এর সাথে অতিরিক্ত ডকুমেন্টস হিসেবে পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি দাখিল করতে করতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট করা যায়?
হ্যাঁ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই পাসপোর্ট করা যায়, তবে আবেদনকারীকে হতে হবে ২০ বছরের নিচে এবং আবেদনকারীর অনলাইন জন্মসনদ (ইংরেজি ভার্সন) লাগবে।
ই পাসপোর্ট আবেদনের সময় কোনো কিছু কি সত্যায়িত করা লাগে?
না, ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো কিছু সত্যায়িত করার প্রয়োজন হয়না। তবে পূর্বে লাগতো কিন্তু এখন লাগেনা।
শেষ কথা
আশাকরি আমরা এই নিবন্ধের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই নিবন্ধে উল্লিখিত ডকুমেন্টস সমূহ ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন। এখানে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি আলোচনা করা হয়েছে।
এই পোস্টটি বিষয়ে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুণ। অতি দ্রুত রিপ্লাই পাবেন।